জীবনযাপন ডেস্ক :
‘হাসতে নাকি জানে না কেউ/ কে বলেছে ভাই,/ এই শোন না কত হাসির/ খবর বলে যাই।‘ খবর যত হাসিরই হোক, সুন্দর দাঁত না হলে প্রাণখুলে কেউ আর হাসে না। সহজে সুন্দর দাঁত নিয়ে যেন হাসা যায়, আজ সে ব্যবস্থা করা যাক। প্রথমে জেনে নিতে হবে, দাঁত কেন হলুদ হয়ে যায়।
দাঁত যেসব কারণে হলুদ হয়
- নিয়মিত ধূমপানে দাঁতের রং দ্রুত পরিবর্তিত হয়।
- অতিরিক্ত মাত্রায় চা কিংবা কফি পানে দাঁত হলদেটে হয়ে ওঠে।
- নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের প্রভাবেও দাঁত হলুদ হয়ে উঠতে পারে।
- জিনগত কারণেও কারও কারও দাঁত হলুদ হয়।
- শিশু যখন মাতৃগর্ভে থাকে, তখন মায়ের খাওয়া কিছু ওষুধের প্রভাবে অনাগত শিশুর দাঁত হলুদ হয়ে যেতে পারে।
- কোমল পানীয় ও কৃত্রিম ফলের রসও দাঁতের রং পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
দাঁতের বাইরের অংশ এনামেলে তৈরি। এনামেল শরীরের সবচেয়ে শক্ত অংশ। অযত্নে এই মজবুত অংশও দুর্বল হয়ে যায়, বিবর্ণ হয়ে যায়। উজ্জ্বল দাঁত পেতে করণীয়গুলো যেন নেওয়া যাক।
ঝকঝকে দাঁতের জন্য
- দাঁত ঝকঝকে রাখতে স্ট্রবেরি চমৎকার ফল। এতে আছে ম্যালিক অ্যাসিড নামের একধরনের উপাদান। এই উপাদান দাঁতের ওপর জমে থাকা হলুদ আস্তরণ সরাতে সাহায্য করে।
- লেবুতে প্রাকৃতিকভাবেই ব্লিচিং উপাদান থাকে। দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতে পারে। লেবুর খোসা দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হবে, সঙ্গে ভিটামিন সির চাহিদাও পূরণ হবে।
- খাবারে ব্যবহৃত বেকিং সোডাও দাঁত সাদা করতে পারে। পেস্টের ওপরে খানিকটা বেকিং সোডা ছিটিয়ে ব্রাশ করলে দাঁত হয়ে যাবে সাদা।
- সাধারণ লবণ দিয়েও দাঁত সাদা করা যায়। লবণ দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হবে, সঙ্গে মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।
- ক্যালসিয়াম দাঁতের গঠনের একটি অন্যতম উপাদান। এর অভাব হলে দাঁতের রং পরিবর্তিত হতে থাকে। দাঁতের সুস্থতা ও ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
- কমলালেবুর খোসা ফেলে না দিয়ে খানিকটা কাজে লাগাতে পারেন। খোসায় থাকা উপাদানগুলো খুব সহজেই দাঁত পরিষ্কার করতে পারে।
- দাঁত সাদা করতে নিয়মিত মাশরুম খেতে পারেন। মাশরুম মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং দাঁতে প্লাক হতে বাধা দেয়। দাঁতে প্লাক না জমলে দাঁত তো সাদা দেখাবেই।
- অ্যাকটিভেটেড চারকোল ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক এ উপাদান দাঁত সাদা করে। আজকাল কয়লা ও লেবুর মিশ্রিত টুথপেস্ট পাওয়া যায়। অনেক আগে মানুষ এসব দিয়েই দাঁত সাদা করত। সেই প্রাচীন উপায়কে একটু আধুনিক করে এ ধরনের টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
লেখক: ডা. সিদ্ধার্থ মজুমদার
মুখ ও ম্যাক্সিলো ফেশিয়াল সার্জন