তিন মাসে থানা থেকেই চুরি তিন মোটরসাইকেল


ইউএনভি ডেস্ক:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকর্মী সেই পুলিশ বাহিনী যেন বর্তমানে অসহায় হয়ে পড়েছে মোটরসাইকেল চোরচক্রের কাছে।থানার প্রধান ফটকে ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকা একজন কনস্টেবল এবং সিসিটিভি ক্যামেরার মতো নিরাপত্তা বেষ্টনী উপেক্ষা করে তিন মাসে খোদ থানা থেকেই পুলিশ কর্মকর্তাদের তিনটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে।

শুধু পুলিশ কর্মকর্তাদের মোটরসাইকেলই নয়, পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেই সম্প্রতি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে অহরহ। তবে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় গত কয়েক মাসে থানায় এক ডজনের বেশি অভিযোগ জমা পড়লেও এখন পর্যন্ত চোরচক্রের কোনো সদস্যকেই শনাক্ত করতে সক্ষম হয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন ভূমিকাকে তাদের অদক্ষতা হিসেবে আখ্যায়িত করছে স্থানীয় সুশীল সমাজ।

জানা যায়, গত বুধবার রাতে ভৈরব থানার এসআই সাইফুল ইসলাম শ্যামলের ১৬০ সিসির সুজুকি মোটরসাইকেলটি চুরি হয়ে যায়। এর মাত্র দুদিন আগেই প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকা দিয়ে মোটরবাইকটি কিনে ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এর আগেও গত বছরের শেষ দিকে থানা চত্বর থেকেই এই পুলিশ কর্মকর্তার আরো একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে।এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে থানার ভেতর থেকে ১৫০ সিসির একটি পালসার মোটরসাইকেল চুরি হয়।

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে থানার গ্যারেজ থেকে এসআই অভিজিৎ চৌধুরীর ১৫০ সিসির ইয়ামাহা মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। ওই ঘটনায় চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের মালিক এসআই অভিজিৎ চৌধুরী আক্ষেপ করে বলেন, পুলিশ অফিসার হয়েও চোরদের কাছে সবসময় অসহায় হয়ে থাকতে হচ্ছে। তিনি বলেন, চোরদের অভিনব কৌশলের কাছে সবাই অসহায়।

এ তো গেল পুলিশ কর্মকর্তাদের মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার গল্প। এসব চুরির ঘটনা ছাড়াও ভৈরব উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পৌরসভা চত্বর, পৌর নিউমার্কেট, পৌর এলাকার কমলপুর ও আবেদীন হাসপাতালসহ ভৈরবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায়ই ঘটছে মোটরসাইকলে চুরির ঘটনা। আর চুরির ঘটনায় গত কয়েক মাসে ভৈরব থানায় ডজনখানেক অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তারপরও কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না ওইসব চোরদের দৌরাত্ম।

এসব চুরি রোধে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা জানতে চাইলে ভৈরব থানার ওসি (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে  বলেন ‘সম্প্রতি পুলিশ অফিসারদের মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জায়গায় চুরির ঘটনা নিয়ে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।’

ওসি আরো বলেন, ‘সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চোর শনাক্তকরণসহ এসব ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারে আমরা শিগগির কার্যকর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

স/কা ক


শর্টলিংকঃ