দেশি পেঁয়াজ ছেড়ে মিশরীয় পেঁয়াজে অভ্যস্ত হচ্ছে মানুষ


‘আমরা গরিব মানুষ। দেশি পেঁয়াজ ২০০-২৫০ টাকা কেজি দামে কিনে খাওয়া সম্ভব না। তাই সরকারি ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ৪৫ টাকা কেজিতে চার কেজি মিশরীয় পেঁয়াজ কিনলাম। সাহেবের ডিউটি শেষ করে বাসায় নিয়া যামু। দেশি পেঁয়াজের মতো খেতে অতটা স্বাদ না হলেও মন্দের ভালো।’

আজ (বুধবার) দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে সচিবালয় সংলগ্ন বিদ্যুৎ ভবনের সামনে টিসিবির ট্রাক থেকে পেঁয়াজ কিনে চলে যাওয়ার সময় আসাদুল নামের একজন প্রাইভেটকার চালক এসব কথা বলছিলেন। টিসিবির ট্রাকের সামনে পেঁয়াজ কেনার অপেক্ষায় তখনও শতাধিক নারী ও পুরুষের পৃথক ল্ইান। কিছুক্ষণ পরপর লাইন ছাড়া কে নিল-এমন হইচই শোনা যাচ্ছে। ট্রাকের ওপর থেকে বারবার বলা হচ্ছে, ‘ট্রাকভর্তি পেঁয়াজ আছে। ধৈর্য ধরেন, সবাই পাবেন।’

ট্রাকের ওপর চোখ পড়তেই দেখা যায়, ট্রাকের পাটাতনে থরে থরে সাজানো পেঁয়াজের বস্তা। দুজন লোক বস্তা খুলে বের করছেন ঢাউস আকারের পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের চেয়ে আকারে কয়েকগুণ বড় আমদানিকৃত এসব মিশরীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশি পেঁয়াজের আকাশচুম্বী দামের কারণে সরকারিভাবে টিসিবির মাধ্যমে বিক্রিত মিশরীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেড়েছে। দাম অপেক্ষাকৃত সস্তা হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে টিসিবির ট্রাকে এসব পেঁয়াজ কিনতে দীর্ঘলাইন দেখা যায়।

টিসিবির ট্রাকের পেঁয়াজ বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, এতদিন ট্রাকগুলোতে দৈনিক এক হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হতো। গতকাল থেকে তিন হাজার কেজি করে বিক্রি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত নতুন মিশরীয় পেয়াজ আসায় বেশি করে বিক্রি করা হচ্ছে। লাইনে দাঁড়ানো একেকজনকে চার কেজি করে দেয়া হচ্ছে।

সচিবালয়ের কর্মচারী আহসান আলী জানান, মিশরীয় এ পেঁয়াজগুলো খেতে একটু মিষ্টি মিষ্টি লাগে। তবে খেতে মন্দ লাগে না। তিনি দুপুরে জোহরের নামাজ পড়তে বেরিয়ে কয়েকদিন কিনে নিয়ে গেছেন। বাসার লোকজন এ পেঁয়াজ খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন বলে তিনি জানান।


শর্টলিংকঃ