দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে বিএনপি-জামায়াত


ইউএনভি ডেস্ক:

দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে দেশবিরোধ সন্ত্রাসী দল বিএনপি-জামায়াত। তারা সংবিধান, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের বিরোধী।শনিবার বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আয়োজনে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ভোটার ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে শিক্ষাবিদ বিশিষ্টজন এসব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আগামী নির্বাচন সফল করতে হবে।জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সেমিনারে তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নস্যাৎ করতে বিরোধী পক্ষ উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে। তারা জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশে ধর্ণা দিচ্ছে। তাদের আচরণ কোন রাজনৈতিক দলের ভিতর পড়ে না। বর্তমানে তারা নির্বাচনে বাধা তৈরি করছে। এই নির্বাচন আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার নির্বাচন। যারা বাংলাদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে চান তারা দলে দলে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু নাম নেওয়া যাবে না, এমন আইন করেছিল জিয়াউর রহমান। তার আমলে চলচ্চিত্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতে বড় কিংস পার্টি। বিএনপির সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। টেক ব্যাক বাংলাদেশ মানে দেশকে আবারও পাকিস্তান বানানোর প্রচেষ্টা। বিএনপি-জামায়াত সেটাই করে যাচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রত্যেক নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফল করার জন্য প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে ভূমিকা পালন করবেন। সবার আন্তরিক একান্ত প্রয়োজন। সেমিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফুল ইসলাম।


শর্টলিংকঃ