‘পরের স্ত্রী নিয়ে ফুর্তি করা ব্যক্তিরা আলেম নামের কলঙ্ক’


ইউএনভি ডেস্ক: 

মাদসার ছাত্রদের দেখিয়ে যারা দেশের বাইরে থেকে টাকা এনে পরের স্ত্রী নিয়ে রিসোর্টে ফুর্তি করেন, তারা আলেম নামধারী কলঙ্ক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘ধর্মের নামে অরাজকতা ও তথাকথিত ধর্মীয় নেতাদের ধর্মহীনতা এবং শান্তির ধর্ম ইসলাম’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি।

সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কিছু নামধারী আলেম ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। মাদরাসার ছাত্রদের দেখিয়ে দেশের বাইরে থেকে এরা অনুদান আনেন। আর সেই টাকা দিয়ে পরের স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে যান ফুর্তি করার জন্য। এরা আলেম নামধারী, এরা কলঙ্ক। কোনো আলেমের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে না। তারা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মানুষকে সৎ পথে পরিচালনা করার জন্য। তারা বয়ান করেন। রাজনীতি করা সাধারণ আলেমদের উদ্দেশ্য নয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এরা একদিকে মাদরাসাছাত্র, এতিম ছাত্রদের দেখিয়ে দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকেও চাঁদা নেন। এমনকি জাকাত ফিতরার টাকাও তারা নিজেদের আরাম-আয়েশের জন্য নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢোকান। তারা গাড়ি নিয়ে যখন বের হয় তাদের সামনে পেছনে ৫-৭টা গাড়ি থাকে। আমি মন্ত্রী হিসেবে আমার পেছনে একটা গাড়িও থাকে না। শুধু পুলিশ প্রোটেকশন সব মন্ত্রীকে দেওয়া হয় বিধায় একটা পুলিশের গাড়ি থাকে। আর মামুনুল হক সাহেব যখন বের হতো, তখন সামনে পাঁচটা গাড়ি, পেছনে পাঁচটা গাড়ি। কোনো কোনো সময় তার থেকেও বেশি। ’

‘এই টাকা কিসের টাকা? তার কি কোনো ইন্ডাস্ট্রি আছে? তার কি কোনো ব্যবসা আছে? তার ব্যবসা হলো এই মাদরাসার ছাত্রদের দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করা। সুতরাং এরা হচ্ছে ইসলামের শত্রু। যারা এই ধরনের কাজ করছে তারা ইসলামের শত্রু। ইসলামের কথা বলে যারা মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন দিয়েছে, ঘরের সঙ্গে কোরআন শরীফ পুড়িয়েছে, তারা ইসলামের শত্রু। যারা ইসলামের কথা বলে ভূমি অফিস জ্বালিয়েছে, ফায়ার ব্রিগেডের অফিস-গাড়ি জ্বালিয়েছে তারা হলো ইসলামের শত্রু। ’

হাছান মাহমুদ বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ জানাবো- এই ইসলামের শত্রু আরও আছে। যারা ধরা পড়েছে শুধু তারা নয়, আরও অনেকেই আছে, তাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন। চিহ্নিত করে তাদের বর্জন করা প্রয়োজন। মানুষের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত। এই মুখোশ উন্মোচনের কাজটি আপনাদের করার জন্যই আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন।


শর্টলিংকঃ