পুঠিয়া প্রাণীসম্পদ দপ্তরে রহস্যজনক আগুন


পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় রহস্যজনক আগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হলো উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর-এর ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি রাখা কক্ষটি। দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দাবি করছেন বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে এই আগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। 

তবে স্থানীয় ও হাসপাতালে পশুদের চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকরা সরকারি ওষুধ লুটপাট করতে নিজেরাই অগ্নিকাণ্ড নাটক সাজাতে পারেন।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অফিস কক্ষ থেকে মাত্রারিক্ত কালোধোয়া বের হতে থাকে। বিষয়টি আশে পাশের লোকজন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে দমকল বাহিনীর লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদশীরা বলেন, মাগরিবের আযানের পরও অফিসে হাসপাতালের লোকজন ছিল। তারা বের হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যে ভবনের ভেতর থেকে কালোধোয়া বের হতে থাকে। পশু হাসপাতালটি চারপাশে উচু দেয়াল থাকায় স্থানীয় লোকজন ওই মুহুর্তে সেখানে যেতে পারেনি। তবে তৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়।

গরুর চিকিৎসা নিতে আসা বারইপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বার ও তারপুর গ্রামের আলী হোসেন বলেন, আমরা মাঝে মধ্যে হাসপাতালে পশু পাখির চিকিসা নিতে আসি। কিন্তু চিকিৎসকরা আমাদের শুধুমাত্র ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বিদায় দেন। আর পরিচিত দু’একজনকে দু’থেকে তিন ডোজ সরকারি ওষুধ দেন। তারা সরকারি ওষুধ লুটপাট করতে এই অগ্নিকাণ্ড নাটক সাজিয়েছেন।

চিকিৎসকরা সব সময় ওষুধের কক্ষের সকল বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করেই বাড়ি যান। যার কারণে ওই কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্টশার্কিটের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্য আনিছুর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের লোকজন তৎক্ষনিক ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর মধ্যে ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ কক্ষটি সম্পন্ন পুড়ে গেছে। আমারা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্টশার্কিটে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।


শর্টলিংকঃ