সারাদুনিয়া ডেস্ক:
রমজান মাসের পরই সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক বিশিষ্ট তিন আলেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে সৌদি আরব।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে পবিত্র রমজান মাসের পরই তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে। সরকারি কয়েকটি সূত্র ও আটক এক আলেমের পরিবারের বরাত দিয়ে বুধবার এ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি।
এ তিনজন আলেম হলেন- শায়েখ সালমান আল-আওদাহ, লেখক আওয়াদ আল-কারনি এবং জনপ্রিয় প্রচারক আলী আল-ওমারি। এদের মধ্যে শায়েখ সালমান আল-আওদাহ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। সৌদি আরবে রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রচার চালানোর জন্য ১৯৯৪-৯৯ পর্যন্ত কারাবন্দিও ছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে সৌদি আরব কাতারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়লে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে এ নিয়ে একটি টুইট করেন শায়েখ সালমান আল-আওদাহ। কাতারের সঙ্গে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর বিরোধ মিটে যেতে পারে- এমন একটি প্রতিবেদনকে টুইটারে নিজের পোস্টে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি।
কাতার বিষয়ে এ টুইটটি করার পরই প্রভাবশালী এ ধর্মীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
একই সময়ে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আওয়াদ আল-কারনি এবং জনপ্রিয় প্রচারক আলী আল-ওমারিকে গ্রেফতার করা হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বিশিষ্ট এ তিন আলেমকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি আখ্যায়িত করে রমজান ও ঈদুল ফিতরের পরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায়।
গত ফেব্রুয়ারিতে শায়েখ সালমান আল-আওদাহর ছেলে, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আব্দুল্লাহ আল-আওদাহ ‘মৃত্যুদণ্ডের সামনে আমার পিতা; সৌদিতে এটাই ইনসাফ’ শিরোনামে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি প্রবন্ধ লিখেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী এই গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রবন্ধে আব্দুল্লাহ আল-আওদাহ বলেছেন, যে কণ্ঠ ইনসাফের ভিত্তিতে হক ও সত্য কথা বলে সৌদি সরকার সে কণ্ঠকে রুদ্ধ করে দেয়।
আব্দুল্লাহ আল-আওদাহ বলেন, ‘তার বাবাকে আটক করার অনেক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, সরকারপক্ষ যেভাবে রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে-তিনি সবসময় এর সমালোচনা করতেন এবং জনগণকে সত্যের পক্ষ অবলম্বনে উদ্বুদ্ধ করতেন।
সৌদি-কাতার সংকটে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ ও সৌদি সরকারের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক না থাকাটাই তার মূল অপরাধ।’