‘ফণী’ নিয়ে আর শঙ্কা নেই রাজশাহী অঞ্চলে


নিজস্ব প্রতিবেদক :

ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। তাই শংকাও কেটে গেছে রাজশাহী অঞ্চলে। শেষ পর্যন্ত একরকম শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছে মানুষ। তবে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি থেমে থেমে আজও অব্যাহত রয়েছে।

নগরীর সাহেব বাজার-নিউ মার্কেট সড়ক । আজ দুপুর ২টার সময় তোলা ছবি  – আবু সাঈদ

এদিকে,  রাতে ভারি বর্ষণের কারণে রাজশাহী মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র উৎকণ্ঠায় সকাল থেকে রাজশাহীর মানুষজন দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন নি। বর্তমানে সড়কে নামমাত্র যানবাহন চলাচল করছে। শিরোইল বাস টার্মিনালে সকাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রীবাহী কোচগুলো নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে।  তবে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি ছেড়ে গেছে প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যক্ষেক লতিফা হেলেন জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে শনিবার  সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ৬৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে । কখনো কখনো দমকা হাওয়া রয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আপাতত ফণী নিয়ে রাজশাহী, চাাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ এলাকায় আশঙ্কার কিছু নেই বলেও জানান তিনি।

সকালে রাজশাহী নগরীতে বৃষ্টি

এর আগে ফণী’র আশঙ্কায় রাজশাহী জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশ এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন উদ্যোগে আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়। দুর্যোগে যেন সাধারণ মানুষ ক্ষতির শিকার না হয় এজন্য সতর্কতাও জারি করা হয়। পদ্মার চরে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যাবারও নির্দেশ দেয়া হয়।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণী দুপুরে পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

অমাবস্যা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

 


শর্টলিংকঃ