বাগমারায় সরকারী ভাবে বোরো ধান-চাল ক্রয়ের উদ্বোধন


বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারায় চলতি বোরো মৌসুমে সরকারী ভাবে কৃষকের নিকট থেকে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান, চাল এবং গম সংগ্রহ ২০২০ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলার ভবানীগঞ্জ সরকারী খাদ্য গোডাউন চত্বরে সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে বোরা ধান ক্রয়ের উদ্বোধন করা হয়।

Bagmara News Rajshahi

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুঠোফোনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন এবং বোরো ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

তিনি বলেন, সরকারী ভাবে যেহেতু সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে সে কারণে কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হয়। কৃষকদের উৎপাদিত বোরো ধানের যেন ন্যায্য মূল্য পায় সে জন্য সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছেন। প্রধান অতিথি আরো বলেন, ধার ক্রয়ের লক্ষ্যে ইতোপূর্বে লটারী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লটারীর মাধ্যমে তালিকায় নাম আসা কৃষকরা যাতে ধান সরবরাহ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারী ধান সংগ্রহ নিয়ে কোন দুর্ণীতি সহ্য করা হবে না। বোরো ধান ক্রয়ে যেন কোন অসৎ উদ্দেশ্য গ্রহণ করা না হয় যে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন এবং ২টি পৌরসভার ১ হাজার ৫শত ৯ জন কৃষকের নিকট থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ২২ শত ৫৬ টন বোরো ধান ক্রয় করবেন সরকার।

আরও পড়তে পারেন   রাজশাহীতে ফের মার্কেট বন্ধ : মাঠে কঠোর সেনাবাহিনী

দালালের দৌরাত্ম বন্ধ করতে এরই মধ্যে লটারীর মাধ্যমে কৃষকের তালিকা চূড়ান্ত করেছে প্রশাসন। স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই এবারও ধান ক্রয় করা হবে বলে জানাগেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদের সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী, ওসি এলএসডি আব্দুর রাজ্জাক, মহিলা বিষয়ক অফিসার এ.কে.এম.ওয়াহিদুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী প্রমুখ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, লটারীর মাধ্যমে যে সকল কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে কেবল তাদের নিকট থেকেই ধান কক্রয় করা হবে। কোন ব্যক্তি যেন ধান ক্রয়কে কেন্দ্র করে ফায়দা হাসিল করতে না পারে সে জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকরাই তাদের উৎপাদিত ধান ন্যায্য মূল্যে সরাসরি বিক্রয় করতে পারবে।

এছাড়াও অনুমোদিত মিল মালিকের নিকট থেকে ৩৫ টাকা কেজি ধরে আতব চাল এবং ৩৬ টাকা কেজি ধরে সেদ্ধ চাল ক্রয় করা হবে। পাশাপাশি ২৮ টাকা কেজি ধরে গম সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।


শর্টলিংকঃ