বাঙালির প্রাণ এক-একটি রাবির ‘চিহ্ন’


ছোটকাগজ প্রত্যেকটা বড় লেখকের ভিত্তিচেতনার মূলে দাঁড়িয়ে আছে। জ্ঞান, বিজ্ঞন, দর্শন কিংবা কলা চর্চার ক্ষেত্র ছোট কাগজের ভূমিকা কী কখনো অস্বীকার করা যাবে! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবন চত্বরে বিশাল পরিসরে শুরু হয়েছে চিহ্নমেলা চিরায়ত বাংলা ২০১৯। এ নিয়ে লিখেছেন মেহেদী হাসান।

লেখক মেহেদী হাসান

            জ্ঞানের নেশা, জানার আগ্রহপ্রত্যেকটা মানুষের চোখে মুখে। উৎসুক জনতা ঘুরছে স্টলে স্টলে। দেখছেন কোন পত্রিকা কী বার্তা দেয়, কী শেখা যায়। জ্ঞানচর্চায় জাতির অন্তরে অন্তরে ধ্বনিত করবে অসাম্প্রদায়িকতার অমিয় শুধা।

ছোটকাগজ প্রত্যেকটা বড় লেখকের ভিত্তিচেতনার মূলে দাঁড়িয়ে আছে। জ্ঞান, বিজ্ঞন, দর্শন কিংবা কলা চর্চার ক্ষেত্র ছোট কাগজের ভূমিকা কী কখনো অস্বীকার করা যাবে!

শহীদুল্লাহ কলা ভবন চত্বরে বিশাল পরিসরে শুরু হয়েছে চিহ্নমেলা চিরায়ত বাংলা ২০১৯। এক একটি চিহ্ন এক একটি বাঙালির প্রাণ।

ভাষার মাস শেষ হতেই মহান মুক্তিযুদ্ধের মাস আর মহান এ মাসে চিহ্ন পত্রিকা যে সাহসের পরিচয় দিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।

এপার বাংলা- ওপার বাংলার এক মিলনমেলার যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে চিহ্ন তা অসুস্থ মানসিকতা কিংবা শ্রীহীন সমাজের মূলে বিশাল কুঠারাঘাত যেখানে প্রধান লক্ষ্য চিত্তের প্রসারণ মানে মস্তিষ্কের মুক্তি।

মস্তিষ্ককে সচল করতে পারলে মনের হাজার কুসংস্কার দূর হবে, জ্ঞানে আর মানে আসবে সমতা। চিহ্ন বারে বারে স্মরণ করিয়ে দেয় জ্ঞান চর্চার জন্য সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন আর চিত্রকলার প্রয়োজনীতা কতোটা বেশি।

দেশের এবং বাইরে থেকে আসা বাংলা ভাষাভাষী মানুষগুলোর সাথে কথা বললে তাদের ভালোবাসার জায়গাটা অনুধাবন করা যায়।

এতো বেশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিদগ্ধ, গুগী জন আসছেন তাদের সাথে কথা বলতে পারা কিংবা উন্মুক্ত জ্ঞানচর্চা করতে পারা, আলোচনা মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করা এটি একটি বিরাট পাওয়া।

চিহ্নমেলায় বিভিন্ন ছোটকাগজ দেখছেন শিক্ষার্থীরা

এ থেকে তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাঁড়াবার স্থান করে নিচ্ছে কিংবা প্রবীন মানুষ নতুনদের জন্য লেখার জায়গা করে দিচ্ছেন, বলছেন হে নবীন নিজের বুদ্ধিকে মুক্তি দাও, জ্ঞানচর্চা দ্বারা নিজেকে শানিত করো, আজ দেশের কাছে তোমার বিরাট দায়বদ্ধতা। নতুনদের আগ্রহ দেখে সবাই অভিভূত।

লেখক, সম্পাদকদের সবচেয়ে বড় আশার জায়গা একটা নতুন পাঠক শ্রেণিকে নিয়ে যারা ভাষা, জাতিসত্তার বলে বলীয়ান হয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। কেননা ছোট কাগজ একটি লেখকের ভিত্তি যা একটি মানহীন লেখকে মানসম্মত করে তোলে।

সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শনচর্চা একজন মানুষ সত্যিকারের মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। বোধের ব্যপ্তয় ঘটিয়ে চেতনায় প্রগাঢ়তা আনে। জন্ম নিলেই তো মানুষ হয়ে ওঠা যায় না ধীরে ধীরে মানুষ হয়ে উঠতে হয়, মানবিক হতে হয়।

আর সে মানবিকতা বা মানববোধের উন্মোচন ঘটে জ্ঞানচর্চা দ্বারা। চিহ্ন বলে জ্ঞানচক্ষু উন্মিলিত করো কেননা দেখার বাইরে একটা জগত আছে সে জগতকে দেখতে শেখো, ভালোবাসতে শেখো মানুষকে, মানবজনম সফল করো।

লেখক: শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়


শর্টলিংকঃ