ভাঙ্গুড়া আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা:

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ আব্দুল ওয়াহেদ। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে ঝবঝবিয়া গ্রামে তার বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।


সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি সালিশি বৈঠক কে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে আমার নামে অর্থ আত্নসাতের অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। গ্রামের একটি কুচক্রী মহলের সহযোগীতায় খামারী মিজানুর রহমান ওরফে রিপন মোল্লা আমাকে রাজনৈনিক ভাবে হেয় করার জন্য এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।

গত ৫ মার্চ রিপন মোল্লার পোল্ট্রি খামারে খাদ্য চুরি হয়। তার অভিযোগ, তার খামারের কর্মচারী নুরুজ্জামান ফিড (খাদ্য) চুরি করে ফিড ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের কাছে বিক্রি করছেন। এই চুরির ঘটনায় বিচারের জন্য অষ্টমনিষা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও গ্রাম প্রধান আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের নিকট সালিশের রোজের টাকা দেন খামারী মিজান। তবে রোজের টাকা দেওয়ার পূর্বে তাকে আমি থানায় জিডি করার পরামর্শ দিয়েছিলাম।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) ঝবঝবিয়া ঈদগাহ্ মাঠে গ্রামের প্রধান আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক ও আজিজল হকসহ গ্রামের অন্যান্য প্রধানগণ সালিশ করেন। সালিশে বিবাদী নুরুজ্জামানকে ৩ লক্ষ ১০ হাজার ও জাকির হোসেনকে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করে রায় দেওয়া হয়।

সালিশ বৈঠকে উপস্থিত নুরুজ্জামান ১ লক্ষ টাকা ও জাকির হোসেন ৪০ হাজার টাকা তাৎক্ষনিক সালিশ বোর্ডের সভাপতি ইয়াছিন আলী সরকারের কাছে জমা দেন এবং তিনি গ্রামের মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার আলহাজ্ব আব্দুল বারীর কাছে ক্ষতিপূরণ ও জরিমানার টাকা জমা রাখেন। কিন্তু একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকে যে আমি ক্ষতিপূরনের টাকা আমার কাছে রেখেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত খামারী মিজানুর রহমান ওরফে রিপন মোল্লাকে টাকা দিচ্ছি না।

গত বৃহস্পতিবার ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সালিশী বৈঠকের সদস্যদের উপস্থিতিতে ঝবঝবিয়া গ্রামের মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার আলহাজ্ব আব্দুল বারীর কাছে থেকে ক্ষতিপূরণ ও জরিমানার টাকা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খামারী মিজানুর রহমান কে বুঝিয়ে দেন।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, আমরা বিভিন্ন ভাবে খোঁজ খবর এবং গ্রামের বিভিন্ন লোকদের সাথে কথা বলে জেনেছি সালিশে স্বিধান্ত মোতাবেক দুই জনের কাছ থেকে আদায় করা টাকা ঝবঝবিয়া গ্রামের মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার আলহাজ্ব আব্দুল বারীর কাছে জমা রাখা ছিল। একই কথা বলেন গ্রাম প্রধান ও সালিশের সভাপতি ইয়াসিন আলী সরকার।


শর্টলিংকঃ