ভাঙ্গুড়ায় দুধ সংগ্রহ বন্ধ রাখায় বিপাকে খামারীরা


ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:

পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের জগাতলা বাজারে অবস্থিত ব্র্যাক চিলিং সেন্টারে দুধ সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সাড়ে সাত হাজার লিটার দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারীরা। এ অবস্থায় তারা পানির দামে দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে খামারীদের অভিযোগ, কোনো নাটিশ ছাড়াই খামারী বা কালেকটিং ম্যানেজারের নিকট থেকে দুধ সংগ্রহ বন্ধ রাখা হয়েছে।


এ ব্যাপারে চিলিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুধ ক্রয় বন্ধ রাখার বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে খামারীদের সাথে আলাপে ওই চিলিং সেন্টারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী কিছুদিন থেকে এখানকার ব্র্যাক, আকিজ, মিল্কভিটা ও প্রাণের চিলিং সেন্টার গুলোতে ভেজাল দুধ বিক্রি করছেন।

কয়েকজন খামারী বলেন, নকল দুধ তৈরির কারিগর সঞ্জয় ঘোষ বৃহস্পতিবার আটকের পুর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত ব্র্যাক চিলিং সেন্টারে ভেজাল দুধ বিক্রি করতো। তার কোড নম্বরছিল ১১৫। তারা আরো জানান, ভাঙ্গুড়া প্রাণ ডেইরী চিলিং সেন্টার ও ওই ভেজাল দুধ ক্রয় করতো। এর পর থেকে এখানে দুধের ল্যাক্টমিটার রিডিং এর পরিমাপক ধরা হয়েছে ২৯। অথচ বর্তমানে এই এলাকায় উৎপাদিত দুধে ল্যাক্টমিটার সো করে মাত্র ২৪ হতে ২৬। এ কারণে তাদের দুধ ক্রয় বন্ধ রাখা হয়েছে।

পারভাঙ্গুড়া গ্রামের দুধের কালেকটিং ম্যানেজার হারুন আলী বলেন, ব্র্যাকের আওতায় আমরা ২৬জন ম্যানেজার ও ৫১ জনখামারী দৈনিক ৭ হাজার ৫শ লিটার দুধ সরবরাহ করতাম। হঠাৎ দুধ না নেওয়ায় আমরা মারাত্নক ভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছি। খামারী নুর সাঈদ ও গোলজার হোসেন বলেন, আমাদের গাভীর দুধ বিশুদ্ধ হওয়া সত্তেও ব্র্যাক ক্রয় বন্ধ রাখায় আমরা মহাবিপদে পড়েছি। তাই দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা উর্ধতন কতৃৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


শর্টলিংকঃ