ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার চালু


ইউএনভি ডেস্ক: 

করোনা সন্দেহভাজনদের জন্য বগুড়ায় সরকারি আজিজুল হক কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ভবনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে ৩০০ শয্যার আবাসন ব্যবস্থা থাকছে।এরইমধ্যে কলেজ ভবনের কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সেখানে নির্দিষ্ট দূরত্বে শয্যা বসানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে।

পুঠিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন সুনশান নীরবতা

স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, মূলত ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্যই ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। আটকেপড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা বগুড়া জেলার বাসিন্দা তাদের ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হবে।সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে দেশে ফেরত আনা শুরু হবে।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ভবনের ইনচার্জ ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত কুমার জানান, বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কলেজের পুরাতন ভবনের নতুন বিল্ডিংয়ের ১০টিসহ মোট ১৪টি কক্ষকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। এখানে যাদের রাখা হবে তাদের খাবার রান্না করা হবে নতুন বিল্ডিংয়ের পেছনের ছাত্রাবাসে।

তিনি জানান, প্রস্তাবিত ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় শয্যাগুলো বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএস সরবরাহ করছে। রোববার পর্যন্ত ওই সংস্থা থেকে ৩০টি শয্যা পাঠানো হয়েছে। বাকিগুলো হয়তো দুই-একদিনের মধ্যে এসে পৌঁছাবে।

তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে শহরে দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা বর্তমানে কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ভবনের নতুন বিল্ডিংয়ের কয়েকটি কক্ষ ব্যবহার করছেন। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারটির সার্বিক দেখভাল তারাই করবেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে।

বেসরকারি সংস্থা টিএমএসএসের উপ-নির্বাহী পরিচালক ডা. মতিউর রহমান জানান, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য তারা উন্নতমানের শয্যা সরবরাহ করছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের ডরমেটরি ও ছাত্রাবাসে যে বেডগুলো আছে সে ধরনের বেডই আমরা সেখানে সরবরাহ করছি।

বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মালেক বলেন, ভারতে আটকে পড়া লোকজনদের যেদিন আনা হবে সেদিন থেকেই সেন্টারটির কার্যক্রম শুরু হবে। তবে ঠিক কবে তাদের আনা হসে সেটি এখনও আমাদের জানানো হয়নি। আর এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যাদের রাখা হবে তাদের কেউ যাতে বাইরে বের না হন সেটি তদারকির পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নিয়ম-শৃঙ্খলার বিষয়টিও সেনা সদস্যরা নিশ্চিত করবেন।


শর্টলিংকঃ