রাজশাহীর দু’উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ’লীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত


নিজস্ব প্রতিবেদক : 
রাজশাহীর মোহনপুর ও বাঘা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দু’জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।  দু’জনই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। এরা হলেন- মোহনপুর উপজেলায় অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম ও  বাঘা উপজেলায় অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু।  মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে দুই উপজেলাতেই  প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কোনো যোগ্য প্রার্থী পায় নি নির্বাচন কমিশন।

অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম

জানা গেছে, মোহনপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম ছাড়াও  মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেন বকুল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন।  মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে নানা অভিযোগে অন্যদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।

রবিবার চূড়ান্ত আপিলেও আফজাল হোসেন বকুল ও গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ফলে ওই উপজেলায় এখন চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম।  তাই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়  তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন । অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের দুলাভাই।
এদিকে, বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন প্রার্থী মঙ্গলবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় আর প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলো না।

অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাভলু

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলুসহ চেয়ারম্যান পদে চার জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়ে যায়। তবে অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলুসহ আরও দুজন প্রার্থী জাতীয় পার্টির মনোনীত জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন রিন্টু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাঘা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুনের মনোনয়পত্র চূড়ান্ত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

কিন্তু এই দুজন প্রার্থী মঙ্গলবার দুপুরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে লায়েব উদ্দীন লাভলুর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

রাজশাহী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম  ইউনিভার্সাল টোয়েন্টিফোরকে বলেন,   মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে দু’উপজেলাতেই একজন করে প্রার্থী টিকেছেন। ফলে তারাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলে গণ্য হবে।

এদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বাঘা-চারঘাট আসনের এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, সৈনিকলীগের নেতারা লায়েব উদ্দীন লাভলুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, রাজশাহী জেলায় নয়টি উপজেলা। এরমধ্যে দুটি  উপজেলাতে চেয়ারম্যান পদে আর নির্বাচন হচ্ছে না। এছাড়া, পবা  উপজেলায় সীমানা জটিলতার কারণে আদালতের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে।


শর্টলিংকঃ