রাজশাহীতে আট প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার


নিজস্ব প্রতিবেদক :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে রাজশাহীর তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আটজন সরে দাঁড়িয়েছেন।  মনোনয়নপ্রত্র প্রত্যাহারের শেষদিন  মঙ্গলবার  তারা নির্বাচন থেকে সরে দাাঁড়াতে আবেদন করেন।  পুঠিয়া, বাঘা, তানোর ও দুর্গাপুর উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জুলকার নায়ন ও বাগমারা, গোদাগাড়ী, মোহনপুর ও চারঘাট উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

চেয়ারম্যান পদের যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তারা হলেন, পুঠিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখলেসুর রহমান মন্টু, বাঘা উপজেলার বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় পার্টির সামশুদ্দিন রিন্টু ও বাগমারার বিএনপি নেতা ডিএম জিয়াউর রহমান। ভাইস-চেয়ারম্যান পদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন বাঘার মোখলেসুর রহমান মুকুল ও মহিদুল ইসলাম।
এদের মধ্যে মুকুল উপজেলা বিএনপির নেতা।

এদিকে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাঘার প্রার্থী ফারহানা দিল আফরোজ রুমি ও মোহনপুরের নাজমা বিবি। বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় এখন একমাত্র প্রার্থী থাকলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত লায়েব উদ্দিন লাভলু।

মোহনপুরে এখন একমাত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম। যাচাই-বাছাইকালে তিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় একক প্রার্থী থাকেন সালাম। এ উপজেলার মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমা বিবি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় একক প্রার্থী হয়ে গেলেন সানজিদা রহমান।

এছাড়া বাগমারা বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার বাবুলেরও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে প্রতিদ্বন্দ্বীরা প্রার্থিতা হারালে একক প্রার্থী থাকেন বাবুল। গোদাগাড়ীর মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী সুফিয়া খাতুন মিলিরও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতির সঙ্গে ভোট করতে কেউ মনোনয়নপত্রই তোলেন নি। ফলে দুই চেয়ারম্যান ও তিন মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

হাইকোর্টের নির্দেশে রাজশাহীর পবা উপজেলায় নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে আগামী ১০ মার্চ ভোট হচ্ছে বাকি আট উপজেলায়। এতে অংশ নিতে তিন পদের বিপরীতে আট উপজেলা থেকে মনোনয়নপত্র তোলেন ৯০ জন। এদের মধ্যে ১৬ জনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে বাতিল হয়ে যায়। আর প্রত্যাহার করে নিলেন ৮ জন। এখন নির্বাচনে থাকলেন ৬৬ জন। তবে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী না থাকায় এদের মধ্যে পাঁচজনের ভোট করার কোনো প্রয়োজন পড়ছে না।

রিটার্নিং কর্মকর্তা জুলকার নায়ন ও সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার প্রার্থিদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। তারপর যেসব প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই তাদের ব্যাপারে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। সেখান থেকে তাদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।


শর্টলিংকঃ