রাকসুর গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৭ বিলুপ্তির দাবি


রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ-৭ বিলুপ্ত করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। গঠনতন্ত্রের ওই ধারাটি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক এবং রাকসুর সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে না বলে দাবি তাদের।

রাকসু সংলাপ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা

মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে ‘রাকসু’ সংলাপ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তারা ১৩ দফা দাবি জানান। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক নাজমুল হায়দার, রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চন্দ্র প্রমূখ।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- নির্বাচনের আগে পরিবেশ পরিষদ গঠন, ভোটার তালিকা দ্রুত হালনাগাদ, সান্ধ্যাকোর্সের শিক্ষার্থীদের ভোটার ও প্রার্থী তালিকা হতে বাদ দেওয়া, ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে সব সংগঠনের সহাবস্থান এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ও সকল সংগঠনের কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন, একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, হলগুলো দখলদারিত্ব মুক্ত করা।

মেয়েদের হলে সান্ধ্য আইন বাতিল করা, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, নির্বাচনকালে সাংবাদিকদের পেশাগত স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থী ও অংশগ্রহণকারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা।

জানতে চাইলে রাকসু সংলাপ কমিটির সভাপতি প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অধিকাংশ যৌক্তিক এবং অন্যদের সঙ্গে মিল রয়েছে। কিছু বিষয় আছে, যেগুলো আমরা নোট রেখেছি। পরে আলোচনা করে সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তবে গঠনতন্ত্র সংশোধন করার বিষয়টি রাকসু সচল হওয়ার আগে আর সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন প্রক্টর। তিনি বলেন, ‘রাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে সচল হওয়ার পর কার্যনির্বাহী যে কমিটি দায়িত্ব পালন করবে, তারা এ গঠনতন্ত্র সংশোধন করবে। সেই ভালো এবং গ্রহণযোগ্য হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।’


শর্টলিংকঃ