রাজশাহীতে দেড় মাসের শিশুর করোনা


নিজস্ব প্রতিবেদক :

এবার রাজশাহীতে ৪৫ দিনের একটি শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফল হাতে পেয়েছেন।

এর আগে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনি নিয়ে শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর পরই তার নমুনা নেওয়া হয়। রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার ফলে শিশুটির করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। রাতেই বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়।

৪৫ দিনের আক্রান্ত কন্যাশিশুটির নাম আফরিন রহমান। তার বাবার নাম আরিফুর রহমান। মায়ের নাম মাহবুবা খাতুন। নগরীর বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা পরিবারটি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পজিটিভ শনাক্তের পর শিশু আফরিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬নং ওয়ার্ডে (করোনা ওয়ার্ড) ভর্তি করা হয়েছে। শিশুদের জন্য করোনার নির্ধারিত ওষুধপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। ১৬নং করোনা ওয়ার্ডে বেড খালি না থাকায় শিশুটিকে মেঝেতে রেখেই আপাতত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সূত্রে আরও জানা গেছে, কয়েক মাস আড়ে তিন মাসের আরেকটি শিশুর করোনা পজিটিভ হয়েছিল রাজশাহী মেডিকেলে। সাত দিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর ওই শিশুটি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। শিশু আরফিনেরও পরিস্থিতি উন্নতির দিকে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, শিশুটির বাবা কয়েক দিন আগেই পজিটিভ হন। তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। এরই মধ্যে শিশুটি ঘুমাচ্ছিল না। অনবরত কান্নাকাটি করছিল। মা মাহবুবা খাতুন মেয়েকে নিয়ে রাজশাহীর বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন গত কয়েক দিন।

এরই মধ্যে নগরীর রেলগেটে অস্থায়ী ক্যাম্পে এন্টিজেন টেস্ট করান। এতে শিশু আফরিনের পজিটিভ আসে। তার পরও বাড়িতে রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধপত্র খাওয়াচ্ছিলেন। কিন্তু শনিবার শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হয়। শিশুটিকে ১৬নং করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে শিশুদের জন্য পৃথক করোনা ওয়ার্ড না থাকায় করোনার জেনারেল ওয়ার্ডেই শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভর্তির পর শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।

শিশুটির মা মাহবুবা খাতুন ফোনে জানান, শিশুর বাবা ও শিশুর করোনা পজিটিভ হওয়ায় তিনিও হয়তো পজিটিভ হয়েছেন বলে আশঙ্কা তার। এখনও পরীক্ষা করাননি। তবে তার শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ নেই। শিশুকে নিয়ে তিনি এখন হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রয়েছেন।

মা মাহবুবা খাতুন বলেন, তিনি নিজেকে নিয়ে চিন্তিত নন। সন্তানকে সুস্থ করে তুলতে তিনি করোনা ওয়ার্ডে শিশুর সঙ্গে থাকছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী আরও বলেন, এ বয়সের শিশুর করোনাক্রান্তের ঘটনা এটি প্রথম নয়। কয়েক মাস আগে তিন মাসের এক শিশুর করোনা পজিটিভ হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসার নেওয়ার পর ওই শিশুটি সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।


শর্টলিংকঃ