রাজশাহী বোর্ডে মাধ্যমিকেই ঝরে পড়েছে ২৭ হাজার শিক্ষার্থী


বিশেষ প্রতিবেদক :

রাজশাহী বিভাগে আশঙ্কাজনকহারে ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থী।নানা কারণে মাধ্যমিক পাসের আগেই ছিটকে পড়ছে তারা। বোর্ড কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে, নতুন স্কুলগুলো ভুয়া শিক্ষার্থীর নিবন্ধন করায় খাতা কলমে ঝরে পড়ার হার বেশি দেখাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ঝরে পড়া ঠেকাতে স্কুলভিত্তিক মনিটরিং কমিটি গঠন জরুরি।

উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে বইসহ শিক্ষার্থীদের নানা সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এরপরও রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ধরে রাখা যাচ্ছে না শিক্ষার্থী। শিক্ষা বোর্ডের তথ্য বলছে, ২০১৭ সালে নবম শ্রেণীতে নিবন্ধনভুক্ত হয়েছিল দু’লাখ ৬হাজার ৯৭০জন শিক্ষার্থী। কিন্তু এদের মধ্যে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৯০৯জন। এক শিক্ষাবর্ষেই ঝরে গেছে ২৭ হাজারেরও বেশি।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনারুল হক প্রাং ইউনিভার্সাল২৪নিউজকে বলেছেন, গ্রামের বেশির ভাগ মেয়েদের ১৮বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ফলে এসএসসি পাস করার আগেই এরা ঝরে যাচ্ছে। এর বাইরে আরেকটি বড় কারণ হলো- নতুন নতুন স্কুলগুলোতে পাঠদানের অনুমতির জন্য ভুয়া শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন দেখায়। এটি বোর্ডের হিসেবে চলে আসছে। এছাড়া, টেস্ট পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হতে পারে নি তাদেরকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হয় নি। ফলে এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, গ্রামের কর্মের অভাবে দরিদ্র ছেলেরা ঝরে পড়ছে। অনেকেই আবার কারিগরি শিক্ষার দিকে যাচ্ছে। গ্রামের স্কুলগুলোতে আসলে পড়াশোনা নিয়ে কী হচ্ছে তা দেখভালের কেউ নেই। শিক্ষা অফিসের পক্ষে তা মনিটরিং করাও সম্ভব হয় না। এজন্য সমাজের বিশিষ্ট লোকদের নিয়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। তারা স্থানীয়ভাবে নানা সমস্যা সমাধান করবে। পাশাপাশি ঝরে পড়া রোধে উপ-বৃত্তি বাড়াতেও সরকারকে তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

গত চার বছরে রাজশাহী বিভাগে স্কুল বেড়েছে ৩৩টি। আর এই সময়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে সাড়ে ৩৪হাজার। তবে সব কিছু ছাপিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এবারও পাসের হারে সারাদেশে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।

আরও পড়ুন-রাজশাহীর মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে দেবে চীনা প্রতিষ্ঠান

 

 


শর্টলিংকঃ