রাবি ছাত্রলীগ নেতা কাননের দুই হাত ভেঙে দিল স্থানীয়রা


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গাছ থেকে লিচু পেড়ে খাওয়ার জেরে বাগান পাহারাদারদের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান কাননের দুই হাত-ই ভেঙে গেছে। মঙ্গলবার (০৭ মে) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের উত্তর দিকে অফিসার্স কোয়ার্টার এলাকায় হামলার শিকার হন কাননসহ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী।

হাসপাতালের বেডে ছাত্রলীগ নেতা কানন। ডানে তার দুই হাতের এক্সরে রিপোর্টের ছবি

হামলায় গুরুতর আহত কাননকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে এক্স’রে করে দেখা যায়, কাননের দুই হাত-ই ভেঙে গেছে। তিনি বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

একই ঘটনায় জখম হয়েছেন রাবি ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান। তিনিও রামেকে চিকিৎসাধীন। এছাড়া হামলার শিকার অন্য ৫ জনের অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাবিতে লিচু পাড়ায় স্থানীয়দের হামলায় ৭ শিক্ষার্থী আহত

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মাহমুদুর রহমান কানন ও মেহেদিসহ ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী রোকেয়া হলের পাশের বাগানে লিচু পাড়তে যান। বাগানটি পাহারার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন প্রহরী তাদেরকে লিচু পাড়তে বাধা দেন।

কানন ও মেহেদীসহ সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দেওয়ার পর একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে স্থানীয় পাহারদাররা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোঠা ও লোহার রড নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন।

খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে রড, স্ট্যাম্প নিয়ে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। ওই সময় নেতাকর্মীরা লিচু বাগান পাহারাদার থাকার জন্য তৈরি করা মাচার ঘরটিতে আগুন দেয়।

রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমাদের বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত। তাদেরকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তাদের চিকিৎসা চলছে।

তিনি বলেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাননের অবস্থা খুবই খারাপ। তার দুই হাত ভেঙে গেছে। এক্সরে করা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একজন কর্তাব্যক্তি নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিভার্সাল২৪নিউজ.কম-কে জানান, এ বছর গাছ লিজ দেওয়া হয়েছে ঠিক। তবে যারা লিজ নিয়েছেন, তাদেরকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে- শিক্ষার্থীরা যদি কেউ খাওয়ার জন্য অল্প কিছু পাড়তে যায়, তবে যেন তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করা হয়। তারপরেও এমন ঘটনা দুঃখজনক।


শর্টলিংকঃ