রাবিতে লিচু পাড়ায় স্থানীয়দের হামলায় ৭ শিক্ষার্থী আহত


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গাছ থেকে লিচু পেড়ে খেতে চাওয়ার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়রা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অন্তত সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ মে) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের উত্তর দিকে অবস্থিত কর্মকর্তা কোয়ার্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন মাহমুদুর রহমান কানন। তিনি রাবি ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং ফলিত গণিত বিভাগের ছাত্র।

মারধরের শিকার অন্যদের মধ্যে উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, কর্মী ইমরান ও আকাশ। তবে অন্যদের পুরো পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি।

অপরদিকে, মারধরকারীদের নাম-পরিচয় কেউ স্পষ্ট করে জানাতে পারেন নি। তবে হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে গাছগুলো লিজ নিয়ে পাহারা দিচ্ছিল বলে দাবি করেছেন বলে জানান ছাত্রলীগ সূত্র।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একজন কর্তাব্যক্তি নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিভার্সাল২৪নিউজ.কম-কে জানান, এ বছর গাছ লিজ দেওয়া হয়েছে ঠিক। তবে যারা লিজ নিয়েছেন, তাদেরকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছে- শিক্ষার্থীরা যদি কেউ খাওয়ার জন্য অল্প কিছু পাড়তে যায়, তবে যেন তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করা হয়।

রাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক সাব্বির হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পরে বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি- ছাত্রলীগ নেতা কানন, মেহেদী, ইমরানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭/৮ জন ছাত্র রোকেয়া হলের পাশে কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার এলাকায় লিচু খেতে যায়।

তবে তারা লিচু পাড়তে গেলে, সেখানে থাকা স্থানীয়রা তাদেরকে বাধা দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্থানীয় ৮/১০ অপরিচিত ব্যক্তি লাঠিসোঠা ও রড নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়রা হামলা করে।

আরও পড়ুন: রাবি ছাত্রলীগ নেতা কাননের দুই হাত ভেঙে দিল স্থানীয়রা

এতে ছাত্রলীগ নেতা ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কাননের কাঁধে গুরুতর জখম হয়। অন্য বেশ কয়েকজনও আহত হয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ওদেরকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এখানে ওদের চিকিৎসার বিষয় নিয়ে ব্যস্ত আছি। পরে বিস্তারিত জেনে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।’

তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কোনো সদস্যের বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। তারা বিষয়টি জেনে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।


শর্টলিংকঃ