সোলাইমানি হত্যা: ইরান সফরে কাতার পররাষ্ট্রমন্ত্রী


ইউএনভি ডেস্ক:

মার্কিন হামলায় আল-কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ।

 সোলাইমানি হত্যা: ইরান সফরে কাতার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

শনিবার মধ্যপ্রাচ্যের নতুন পরিস্থিতি, জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে গুপ্তহত্যা ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন জারিফ ও তার কাতারি সমকক্ষ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি।ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।

শুক্রবার সকালে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় আল-কুদস ফোর্সের প্রধান ও বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকের হাশেদ নেটওয়ার্কের কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসকে।এতে ইরানজুড়ে শোক ছড়িয়ে পড়েছে ও মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাতারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সোলাইমানিকে গুপ্তহত্যা সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জারিফ।তিন বলেন, ইরান কোনো আঞ্চলিক উত্তেজনা চায় না। আমাদের স্পর্শকাতর অঞ্চলে বিদেশি শক্তির উপস্থিতি ও হস্তক্ষেপের কারণেই অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তাহীনতা ও উত্তেজনা বাড়ছে।

থানি বলেন, এ অঞ্চলের পরিস্থিতি খুবই স্পর্শকাতর ও উদ্বেগজনক। কাজেই উত্তেজনা কমাতে শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রত্যাশা করছেন তিনি।কাতারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কাতার। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে দেশটিতে।

শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক সুন্নিশাসিত সৌদি আরব ও তাদের মিত্রদের সঙ্গে দোহার সংকটের বড় কারণ হিসেবে বলা হয়ে থাকে।০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, আরব আমিরাত ও মিসর। দোহার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, দেশটি ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখছে ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে। কাতার এসব অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।


শর্টলিংকঃ