স্ত্রী হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবার ডাকাতির নাটক


ইউএনভি ডেস্ক: 

ঘুমন্ত স্ত্রীকে গলায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন স্বামী। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ঠান্ডা মাথায় ডাকাতির নাটক সাজান।স্ত্রী হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে এবার ডাকাতির নাটক

স্ত্রী ও নিজের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চিৎকার করে মানুষ জড়ো করেন তিনি। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি।পুলিশের বিচক্ষণতায় হত্যাকাণ্ডের ৫ দিনের মাথায় রহস্য উন্মোচন হয়। ঘটনাটি মেহেরপুর গাংনীর পূর্বমালসাদহ গ্রামের। ঘাতক জুয়েল রানা এখন কারাগারে।

রোববার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মেহেরপুর সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার খাস কামরায় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন জুয়েল রানা। বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করে জুয়েলকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

গত ১৪ এপ্রিল মধ্যরাতে নিজ বাড়ির পাশে চম্পা খাতুনের মরদেহ এবং অদূরে আহত অবস্থায় তার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান পরিবারের লোকজন। ডাকাতের হামলায় এ হতাহতের ঘটনা বলে স্বামী জুয়েল ও তার পরিবার দাবি করলেও পুলিশের তদন্তে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচিত হয়।

ওসি ওবাইদুর রহমান ঘাতক জুয়েলের স্বীকারোক্তির বর্ণনা দিয়ে বলেন, স্ত্রী ও মায়ের নামে একটি এনজিও থেকে ঋণ করে কিছু টাকা তার শ্বশুরকে দেন জুয়েল। এ টাকা পরিশোধ নিয়ে স্ত্রীর সাথে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

এক পর্যায়ে ঘুমন্ত স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ডাকাতির হামলায় আহতের নাটক সাজায়। স্ত্রী ও নিজের মাথায় অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। পরে ডাকাতরা হামলা করে বলে নাটক সাজান।

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় গাংনী হাসপাতাল বাজার থেকে জুয়েলকে গ্রেফতার করেন চম্পা খাতুন হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার ওসি তদন্ত সাজেদুল ইসলাম ও তার দল। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন জুয়েল। পরে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত ওড়না ও অস্ত্র জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।


শর্টলিংকঃ