হায়া সোফিয়ার সূর্যালোক
জর্জ ব্র্যাভলি
‘সূর্যের আলোতে আলোকিত হয়, দীপ্তি নিজের ভেতরেই’
বলেছেন পণ্ডিত প্রকোপায়াস, এই উজ্জ্বলতার সূত্র ধরে
গম্বুজ মনে হয় আলোর বৃত্তের ওপর ভেসে আছে
আর সেই সূর্যরশ্মি, আমরা স্বর্গ সম্পর্কে যা জানি
সূর্যরশ্মি অবতরণে একটি অন্যটিকে অতিক্রম করে
বর্ধিত করে একে অন্যকে ছড়ায় জটিল ছায়া
দিনের বিভিন্ন সময় আলোর ধারা বদলায়
যে পদ্ধতি এত আলো ভেতরে টেনে আনে
এখন ভারাক্রান্ত এবং কলাম থেকে ঝরে পড়ে
পাথরের পাত, তাদের সংকটকালে
হায়া, সোফিয়া, কোনো গোঁড়ামির নির্মাণ নয়,
কল্পনা করেছিলেন দুই গ্রিক-এনথেমিয়াস এবং
ইসিডোর, ঈশ্বরের অনুগ্রহে, জাস্টিনিয়ানের পক্ষে
নির্মাণশৈলী কিংবা নির্মাণের তহবিল জোগাতে
কখনো হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে দেবদূতদের!
তার পরও দুর্ঘটনা ঘটেছে, একটি নয় একাধিক।
৫৫৮-র মে মাসে গম্বুজ নিজেই ভেঙে পড়ল
পতিত সব অংশই পুনরায় নির্মাণ করা হয়
পরিস্থিতি বুঝে আগের মতোই কিংবা নতুন শৈলী
চৌদ্দশ বছরের লঘু গতির চিত্র দেখায়।
ওসমানীয় তুর্কিরা অলিন্দ পুড়িয়েছে, গড়েছে চার মিনার
আর গোধূলি সোনালি অঙ্কন, স্বর্গ যার মানে
অনেকটাই ধ্বংস হয়ে গেছে, এটাই বিস্ময়কর
কাঠামোটা বরাবরই টিকে গেছে, ঠেকিয়েছে
দু’শরও বেশি ভূমিকম্প মুখোমুখি হয়েছে
অবরোধকারী সৈনিকের, বেদি পর্যন্ত যারা গিয়েছে
আর এখনো আমরাও এগোই তার দিকে
আমাদের ইচ্ছে ও পরিকল্পনার অনুমানসহ
আমাদের অস্থিরতার চিহ্ন বহন করে
আমাদের ধারণার ভার তুলে দিয়ে!
স্বপ্নের হায়া সোফিয়া
পল টমাস গ্যালব্যালি
কাল রাতে আমি স্বপ্নে হায়া সোফিয়া দেখেছি
দুর্দান্ত বসফরাসের দিকে তাকিয়ে আছে
ইস্তাম্বুলে বাইজেন্টিয়াল রাজত্বে কনস্ট্যান্টিনোপলে
কালের পুরস্কার; তার সকল বাস্তব ও কল্পিত গৌরব
মানুষের ইচ্ছে ঈশ্বরের দান পাথরের টেস্টামেন্ট
আমার জাতির বিশ্বাস—অনন্তে।
এই হায়ার মধ্যে আমার সোফিয়া
আমার স্বপ্নে ছিল, স্বপ্ন শহরে রাষ্ট্রে
মেসিডোন কিংবা থ্রেসের স্বপ্ন
আধুনিক কিংবা প্রাচীন এশিয়া কিংবা ইউরোপ
কিংবা ইউরোপীয় এশিয়া, তুর্কি কিংবা গ্রিক
ইহুদি কিংবা রুশ, বলকান নক্ষত্র ঝরে তার ওপর…
আমার স্বপ্নে সোফিয়া ঘাসের মণ্ড দিয়ে তৈরি,
বহুমুখী এখনো বেড়ে উঠছে কাঠামোর মধ্যিখানে
তার সাথে সংযুক্ত স্প্যান এবং খিলান।
আদিম বিস্ময় আর আধুনিক গৌরব বয়ে যায়
বেড়ে যায়, পুজো করে তার নিকটের কজন…
সাদা পাথরের পাটাতন এবং অনন্ত ঘাস
গ্রিসের ঈশ্বর সিক্ত করে তাকে
যার আলো সে বাঁচিয়েছে।
কাল রাতে আমি স্বপ্নে হায়া সোফিয়া দেখেছি।