’১০ বছরে দেশের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা বেড়েছে আড়াইগুণ’:হাছান মাহমুদ


ইউএনভি ডেস্ক:
বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করে নিজ দলের নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আর্ত-পীড়িতদের পাশে দাঁড়ান। নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হোন। যিনি নির্মাণবিধিমালা মানবেন না, তিনি নিজেই বিপদে পড়বেন।

আজ রোববার ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ঢিল ওপরে ছুড়লে নিজের গায়ে এসে পড়ে। বিএনপি নেতারা বলেছিলেন, সরকারের অবহেলায় বনানীর টাওয়ারে আগুন লেগেছে। এখন দেখা যাচ্ছে ১৮ তলার অনুমতি নিয়ে এফ আর টাওয়ারের অনুমোদনবিহীন ২৩ তলার অতিরিক্ত পাঁচ তলার মালিক বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভির উল ইসলাম। সেই অপরাধে তিনি ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং তাঁর সহযোগীদের খোঁজা হচ্ছে।

সরকার সমরাস্ত্র কেনে কিন্তু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কেনে না, বিএনপির অভিযোগের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, আমরা কি সমরাস্ত্র কেনা বন্ধ করে দেব? তাঁরা কি জানেন না, সেনা সদস্যদের পাশাপাশি শান্তিরক্ষায় ব্যবহৃত সমরাস্ত্রের জন্যও জাতিসংঘ থেকে দেশ অর্থ উপার্জন করে? তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের ২০৮টি ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা বেড়ে এখন ৪০২টি হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণের চার হাজার জনবল বেড়ে প্রায় ১১ হাজার হয়েছে। কেনা হয়েছে ৪৯ পদের নতুন সরঞ্জামাদি। গত ১০ বছরে দেশের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা বেড়েছে আড়াইগুণ।’

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি অর্জন করেছে স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে কয়েক দশক আগেই বাংলাদেশ মালয়েশিয়া অথবা দক্ষিণ কোরিয়ার সমান সমৃদ্ধি অর্জন করত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশের দায়িত্ব নেন, তখন দেশের বৈদেশিক রিজার্ভ শূন্য ছিল। তিন কোটি মানুষ গৃহহারা, এক কোটি মানুষ শরণার্থী, চারদিকে লাখ লাখ শহীদ পরিবারের আহাজারি, আমাদের স্বাধীনতা চায়নি এমন বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর ষড়যন্ত্র—এসবের মুখে বঙ্গবন্ধু দেশ পুনর্গঠন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দেশ পরিচালনার সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা আমরা মাত্র দুই বছর আগে আবার অর্জন করতে পেরেছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির প্রথম পাঁচটি দেশের একটি। আমাদের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে ছাড়িয়েছে, ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আখতার হোসেন, চিত্রনায়িকা নূতন, কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।


শর্টলিংকঃ