আবরারের বাড়িতে পুলিশের বাধার মুখে বিএনপি নেতা আমান


ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করার জেরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদের বাড়িতে যেতে পারেননি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান। পুলিশের বাধার কারণে ফাহাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে যেতে হয়েছে সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীকে।

রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা অংশের টোল প্লাজা থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।

জানা গেছে, আমানউল্লাহ আমানের গাড়ি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা টোল প্লাজায় পৌঁছে। সেখান থেকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পুলিশের বাধায় গাড়িটি পুনরায় ঢাকার অভিমুখে ফিরে যায়।

এ সময় বিএনপি নেতারা বলেন, কুষ্টিয়া লালন শাহ সেতুতে পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে। আমরা জাতিকে জানাতে চাই আবরার জাতির সম্পদ।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, কেন্দ্রঘোষিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে আমরা এসেছি। আমরা জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং আবরাবের বাড়িতে যাব। তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু সেখানে যেতে না দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী রুমি, সাধারণ সম্পাদক সোহবার উদ্দিন।

এ সময় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আল বেরুনি, ভেড়ামার থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলীম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত গত ৫ অক্টোবর দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এসব চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ।

পর দিন রাতে বুয়েট শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।


শর্টলিংকঃ