নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদেশ ফেরত যাত্রীদের যথাযথভাবে সনাক্তকরণে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিয়ে দেয়া হচ্ছে বিশেষ সিলমোহর । তবে অভিযোগ উঠেছে একবার ধুলেই বা গোসল করলেই মুছে যাচ্ছে সেই সিলমোহর।
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সাংবাদিকতা বিষয়ে এক মাসের কোর্স করতে গিয়েছিলেন রাজশাহীর গণমাধ্যম কর্মী এম এ আমিন রিংকু। গতকাল রাতে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফেরেন তিনি সহ আরও ১৫ জন সাংবাদিক, তাদের সকলের হাতে দেয়া হয় বিশেষ সিলমোহর। আমিন জানান, একবার গোসলের পরই তার হাতে দেওয়া সেই সিলমোহর প্রায় মুছে গেছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
অভিযোগ মিলেছে এক গোসলের পরই এভাবে মুছে গেছে আরও অনেকের সিলমোহর। ৭১ টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক নাজনীন মুন্নীও কলকাতা থেকে ফিরেছেন গতকাল, তার হাতে দেওয়া সিলমোহরের একই অবস্থা। ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘এক মাস পর যখন সন্তান কে দেখতে পাবেন। তখন তাকে বুকে জড়ানো যাবে না। দুর থেকে কেবল একবার দেখা যাবে । এমন দিনও আসবে কে ভেবেছে কবে? সুটকেস ভর্তি তার জিনিস।
চকলেট টা, তার অনেক চাওয়া গল্পের বইটা কোনকিছু তার হাতে দেয়া যাচ্ছে না। আমি আতংক নিয়ে সেগুলির দিকে তাকিয়ে আছি। আসলেই কি তাকে দেয়া যাবে এগুলো? তার কাছ থেকে , পুরো পরিবার… এমনকি পুরো ভবনের সবার কাছ থেকে আলাদা আছি। একা! একটা পুরো বাসায়। বাকি রুমগুলো খা খা করছে। এমনদিনও আসার কথা তাহলে? অথচ আমি জানি আমি সুস্থ। তারপরও এই নির্বাসন। কারন আমি আমার পরিবারের চেয়েও দেশটাকে ভালোবাসি । ভালোবাসি এদেশের প্রতিটা মানুষকে। আমার জন্য তাদের কারো ক্ষতি না হোক…. কেবল একটা জিনিসই বুঝলাম না গোসল করার সাথে সাথে কোয়ারেন্টাইনের সিলটা উঠে গেলো কেন?!!! বিষয়টার কোথাও কি কোনো মশকরা আছে?’
স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি কিভাবে এত দায়সারাভাবে করা হলো তা বোঝা মুশকিল। সারা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে তখনো আমাদের কর্তৃপক্ষ অনেকটা ধীরগতিতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আর এর সাথে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতিবাজ সুযোগসন্ধানীরা। মহামারী ঠেকাতে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে স্বাস্থ্য খাতের সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে।