এসেডো’র দুর্নীতি: মুসলমান দিয়ে আদিবাসীদের টাকা আত্মসাৎ!


নাচোল প্রতিনিধিঃ

সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা দেশের উন্নয়ন ও সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা(এসডিজি)অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এসেডো’র বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

 

সূত্রে জানাগেছে, বেসকারী উন্নয়ন সংস্থা এসেডো সমতলের আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও সচেতনমহলকে আইওয়াস করার জন্য নামমাত্র আদিবাসীদের উপস্থিতিতে তাদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। আলোচনাসভায় আদিবাসীদের তুলনায় মুসলিমদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্ করা গেছে। সরেজমিনে দেখাগেছে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা বিআরডিবি হল রুমে মুক্তি প্রজেক্টের আলোচনা সভায় “সমতলের আদিবসী ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকারভিত্তিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কিছু সুপারিশ ও শিশু শ্রম বিষয়ক আলোচনাসভায় অবহেলিত জনগোষ্ঠির অংশগ্রহণ খুবই কম ছিল। তাই একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার এমন আয়োজনে নাচোলের সচেতনমহল ও স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীরা হতাশ হয়েছেন।

ওই আলোচনাসভায় এসডিজি লক্ষ্য অর্জন এবং তাদের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক নীতি-কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান নীতিকাঠামো যেমন-পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল, জাতীয় খাদ্যনীতি, জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি, শিক্ষানীতি, নারী উন্নয়ন, বাংলাদেশ ডেলটা পরিকল্পনা, দক্ষতা উন্নয়ননীতি, দলিত ও সমতলের আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য অগ্রাধীকার ভিত্তিক অগ্রাধীকার অন্তর্ভূক্ত করা। সেই সাথে সরকারী কার্যক্রম বিশেষ করে মৌলিক সেবাসমূহে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আনয়নে গণকেন্দ্রিক পরিবীক্ষন বাড়ানো দরকার। সেক্ষেত্রে এসেডোর মুক্তি প্রজেক্ট মুক্তির নামে প্রতারনা করছে। ইতিপূর্বে এই এনজিওটি পানি ও স্যানিটেশন ও বাল্যবিয়ে নিয়ে কাজ করে ব্যাপক সমালোচনার মূখে পড়ে।

প্রতিষ্ঠানটির ই.ডি রবিউল হক নিজেকে খুবই চালাক ভেবে নাচোলের সচেতন মহলকে ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করছেন। সুকৌশলে বিভিন্ন দাতা সংস্থার নিকট থেকে ফান্ড নিয়ে নামমাত্র মিটিং সিটিং করে বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে বিল ভাউচার দাখিল করে ডোনারদের টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন। নাচোলের উন্নয়নের চিন্তা করলেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাচোলের একাধিক শিল্পগোষ্ঠী থাকলেও তাদের দিয়ে প্রোগ্রাম করাননা। সে সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন স্থানীয় সাংবাদিকদের দিয়ে না করিয়ে রাজশাহীর সাংবাদিকদের মাধ্যমে করান।এতে করে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে জাতীয় আদিবাসী ফোরামের নাচোল উপজেলা শাখার সভাপতি ও আদিবাসী একাডেমীর সাবেক সভাপতি বিধান সিং বলেন, সমতলের আদিবাসী ও দলিত সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে সেটা আমার জানা নাই। তারা আমাকে কোনদিন কোন মিটিংএ আমন্ত্রণ করেননি। এ বিষয়ে নাচোল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অলিউল হক ডলার জানান, নাচোলের এনজিওগুলো কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করছে সেটা মিডিয়া কর্মীদের জানার দরকার। তারা ইতিবাচক কাজ করলে মিডিয়ায় প্রচার হলে মানুষ সচেতন হবে। নাচোলে অনেক এনজিও গরীব অসহায় দুঃস্থ মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে চলে যাচ্ছে। আবার মিডিয়ায় সংবাদ পরিবেশন হওয়ার পর অনেকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি এনজিওর কার্যক্রম প্রশাসন ও মিডিয়া কর্মীর জানার দরকার। আমি মিডিয়া কর্মী হিসাবে এসেডোর কার্যক্রম সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা।

এবিষয়ে নাচোল উপজেলা রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারন সম্পাদক একেএম জিলানী জানান, এনজিও কার্যত্রম সম্পর্কে তেমন কিছুই জানিনা। বরেন্দ্র অঞ্চল নাচোলে আদিবাসীদের উন্নয়নে কাজ করলে তাদের সাথে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করা জরুরী। এবিষয়ে এসেডো নাচোল প্রজেক্ট অফিসের সম্বনয়কারী ও রাজশাহী অফিসের হিসাব রক্ষক আজহার আলী জানান এ প্রজেক্টে সাংবাদিকদের ডাকা ডাকির কোন অপশোন নাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে প্রজেক্টের সম্পর্ক। প্রজেক্টের কাজ নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে।

 


শর্টলিংকঃ