‘কৃষকের ধান ক্রয়ে কোন দূর্নীতি সহ্য করা হবে না’: খাদ্যমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

কৃষকের ধান ক্রয়ে কোন দূর্নীতি সহ্য করা হবে না। কৃষক যাতে ধানের নায্য মূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে এবং কোন মধ্যস্বত্ত্বভোগী যাতে সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে সেবিষয়ে কঠোর থাকতে হবে, মধ্যস্বত্ত্বভোগীর সাথে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থাকারও নিদের্শন দেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

আজ শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সফরে এসে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন। সরকারী কর্মকর্তা-কর্মবচারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের পর্যাপ্ত বেতন বৃদ্ধি করেছেন। সুতারং অর্থের জন্য অন্য কোন জায়গায় হাত পাততে হবে না। তাই আপনারা দূর্নীতি মুক্ত হয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করবেন।

খাদ্যে সংয়সম্পূর্নতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে বিদেশ থেকে চাল না আসলে আমাদের খাদ্যের ঘাটতি পূরণ হতো না। এখন আমরা খাদ্যে সংয়সম্পূর্নতা অর্জণ করেছি। এখন দেশে উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। এখন আমরা সেগুলো বিদেশে রপ্তানি কারার জন্য চেষ্টা করছি। কৃষক যাতে ধানের মূল্য পায় সেজন্য অন্যান্য যে কোন সময়ের চেয়ে চড়া মূল্য দিয়ে ধান কেনা হচ্ছে। কৃষকের নিকট থেকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান কেনার বিষয়টি আমার নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।
মাঠ পর্যায়ে লটারীর মাধ্যমে কৃষককের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের বিড়ম্বনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকতাদের কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা তৈরী করার করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি না করে ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব অনুযায়ী তালিকা করা হয়েছে। ফলে যে সকল কৃষক ধান উৎপাদন করেনি তাদের সেই কার্ডটি মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে এসব মধ্যস্বত্ত্বভোগী লাভবান হচ্ছে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত কৃষক। এসব বিষয়ে নজরদারী কারার জন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন কার্যালয় মিলনায়তনে আমন ধান সংগ্রহের বিষয়ে খাদ্য ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন খাদ্য মন্ত্রী। এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসি এমপি, জেলা প্রশাসক এজেড এম নুরুল হক, পুলিশ সুপার রকিব উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর তিনি জেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন ও পৌর এলাকার হারিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছরপূর্তী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিকেলে তিনি জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় একটি ঘৌড়দোড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফরসূচী শেষ করবেন।


শর্টলিংকঃ