ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানো হচ্ছে: বিসিবি


বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের বর্ষপঞ্জির একটি নির্দিষ্ট সময় প্রতিবার ঠিক একই কথা শোনা যায়। তাহলো- এবার দারুণ আয়োজন হবে। আসরকে আকর্ষণীয় করে তোলার সব রকম চেষ্টাই চলছে। ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে। ভাল উইকেটে খেলা হবে। আনুসাঙ্গিক সুযোগ সুবিধাও থাকবে বেশি; কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, সেই দায়সারা গোছের আয়োজন।

 

 

 

এবার কি হবে? তার জবাব দেবে সময়। তবে এখনকার খবর, এবার শুরুর আগেই দুই দফা তারিখ রদবদল হলো। মানে শুরুর আগেই দুই দফা পিছিয়ে গেল জাতীয় লিগ।

প্রথমে শোনা গেল ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর জাতীয় লিগের এবারের আসর শুরু হবে ৫ অক্টোবর। তারপরও বলা হলো নাহ, ৫ নয়, ৭ অক্টোবর মাঠে গড়াবে জাতীয় লিগ। এখন আরেক দফা পিছিয়েছে। নতুন শুরুর দিন ধার্য্য করা হয়েছে ১০ অক্টোবর। এখন সেই দিন শুরু হবে কি না? সেটাই দেখার।

এদিকে এবারের আয়োজনকে সামনে রেখে আজ সোমবার হয়ে গেল বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির সভা। সেখানে জাতীয় লিগ আয়োজনে যে সব স্ট্যান্ডিং কমিটির সম্পৃক্ততা থাকে, তার চেয়ারম্যান ছাড়াও প্রতিযোগি সব বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকরাও উপস্থিত ছিলেন।

তা নিয়ে মিডিয়ার সামনে কথা বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন আর বিসিবি ডেভোলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। বিসিবি সিইও মিডিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, এবারের আয়োজনকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া ভাল উইকেটে খেলা অনুষ্ঠানের দাবিও বিসিবি সিইও’র কন্ঠে।

কিন্তু বিসিবির প্রধান নির্বাহী বললেও, ভেতরের খবর হলো এবারও বেতন বাড়েনি ক্রিকেটারদের। আগের মতই রাখা হয়েছে। মূলতঃ জাতীয় লিগ অনুষ্ঠিত হয় দুই স্তরে। প্রথম স্তরের দলের ক্রিকেটারদের ম্যাচ প্রতি পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা করে। আর দ্বিতীয় স্তরের দলের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা করে।

অর্থ্যাৎ, এনসিএলে কোন ক্যাটাগরি নেই। প্রতি ম্যাচে যে ১১ জন খেলবেন, সেই দলের সবাই পাবেন ৩৫ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক। এর বাইরে প্রতি দলের সব ক’জন ক্রিকেটার দৈনিক ভাতা পাবেন ২ হাজার টাকা করে।

সেটা মূলতঃ টিএ/ডিএ খাতেই খরচ হবে। কারণ হোটেলে সকালের নাস্তা সরবরাহ করা হয়। ম্যাচের চার দিন সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও খেলা শেষের খাবার মাঠে বিসিবিই দেয়। যেদিন খেলা থাকে না, শুধু সেই দিনের দুপুর ও রাতের খাবারটা ক্রিকেটারদের নিজের। আর ম্যাচের দিনগুলোয় শুধু ডিনার নিজের খরচে করতে হবে। সেটা ওই দুই হাজার টাকার প্রতিদিনকার ভাতা থেকে খরচ করতে হবে। এর বাইরে সব দলের আবাসন এবং যাতায়াত খরচও বহন করবে বিসিবি।


শর্টলিংকঃ