দরপত্র দাখিলে সন্ত্রাসী হামলা, চার ঠিকাদার আহত


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ লক্ষ টাকার এমএসআর দরপত্র দাখিল করতে যাওয়ায় সময় ঠিকাদারদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নামধারী বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৪ জন। রোববার (১ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ফটকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থল ত্যাগ না করলে সন্ত্রাসীরা ঠিকাদারদের গুম ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বাধার মুখে দরপত্র দাখিল না করেই ফিরে আসতে বাধ্য হন ঠিকাদাররা। ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা জানান, রোববার সকালে ৮-১০ জন ঠিকাদার প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমএসআর দরপত্র দাখিল করতে গেলে তুষারের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা তৎক্ষনাৎ পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিলে ফাঁড়ির ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তা দিতে না পেরে প্রথমে গোদাগাড়ী থানায় এবং পরে র‌্যাবকে খবর দেয়।

তবে উর্দ্ধতন প্রশাসন তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে যায়নি। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু তালেবের ভূমিকাও ছিল নিরব। বাধ্য হয়ে ওই ঠিকাদাররা রাজশাহীতে ফিরে আসেন এবং পরে তারা জেলা সিভিল সার্জনকে লিখিতভাবে বিষয়টি অবগত করেন।

ঠিকাদারদের ভাষ্য, সরকারি বিধিমালার ২ এর ১০ ধারায় একাধিক স্থানে দরপত্র দাখিলের কথা স্পষ্ট উল্লেখ থাকলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেটির লঙ্ঘন করে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দাখিলের স্থান নির্ধারণ করেন। আর সেটি দাখিল করতে গিয়েই বাধার মুখে পড়তে হয়। ফলে তারা কেউই দরপত্র দাখিল করতে পারেননি।

অবশ্য দরপত্র দাখিলের স্থান শুধুমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্ধারণের বিষয়টি প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা আবু তালেব স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এটা নিজেদের সুবিধা মতো করে নেয়া হয়েছে। তবে হামলা চলাকালে তার নিরব ভূমিকার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। এ বিষয়ে জানতে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি খাইরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


শর্টলিংকঃ