জেনে নিন : গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সতর্কতা


বিপাশা আনজুম ঊষা:

নতুন একটি সিলিন্ডার ১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। ১০ বছর হয়ে গেলে এসব সিলিন্ডার ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সিলিন্ডারের গায়ে খোদাই করে মেয়াদ লেখা থাকে। তাই খেয়াল করুন রান্নার জন্য আপনি যে সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন তার মেয়াদ আছে কি না। তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বিধিমালা-২০০৪ (২০১৬ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী সিলিন্ডার নির্ধারিত মেয়াদের পর পরীক্ষা করার নিয়ম রয়েছে।

রান্নার জন্য সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা হয়। তবে এই সিলিন্ডার গ্যাস যথাযথ ব্যবহার না জানায় ঘটছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। অগ্নিকাণ্ডের ফলে মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ। যারা বেঁচে আছেন তারা পোড়া শরীরের ক্ষত নিয়ে বেঁচে আছেন। আবার অনেকে যন্ত্রণা সইতে না পেরে মৃত্যুর কাছে হার মানছেন।

সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সিলিন্ডার গ্যাস সম্পর্কে আমাদের বিভিন্ন অজ্ঞতা এর অন্যতম কারণ। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এমনো হয়েছে একই পরিবারের ৫ থেকে ৭ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে ধুকে ধুকে মার গেছেন। গত মাসে পুরান ঢাকার চক বাজারে জীবন্ত পুরে মারা গেছেন প্রায় ৭০ জন।প্রতিটি সিলিন্ডারের একটি নির্দিস্ট মেয়াদ থাকে। মেয়াদ উর্ত্তীণ সিলিন্ডার ব্যবহার করলে বিস্ফোরণ হওয়ার আশঙ্কা্ বেশি থাকে।

তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন একটি সিলিন্ডার ১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। ১০ বছর হয়ে গেলে এসব সিলিন্ডার ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সিলিন্ডারের গায়ে খোদাই করে মেয়াদ লেখা থাকে। তাই খেয়াল করুন রান্নার জন্য আপনি যে সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন তার মেয়াদ আছে কি না। তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বিধিমালা-২০০৪ (২০১৬ পর্যন্ত সংশোধিত) অনুযায়ী সিলিন্ডার নির্ধারিত মেয়াদের পর পরীক্ষা করার নিয়ম রয়েছে।

এ বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পরিদর্শক মো. আবদুল হান্নান বলেন, মেয়াদ উর্ত্তীণ সিলিন্ডার ব্যবহার করা যাবে না। সাধারণত পাঁচ বছর পরপর পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন।

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে কী করবেন?

সাবান ব্যবহারে সতর্ক হোন:

অনেকেই পাইপ পরিষ্কার করতে সাবান ব্যবহার করেন। এটা অত্যন্ত ভয়ের। পরিষ্কার শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন। খুব নোংরা হলে হালকা করে জলে ভিজিয়ে নিন কাপড়। সেই কাপড়েই পরিষ্কার করুন গ্যাসের পাইপ।

পাইপ বদলান:

পাইপ পরিষ্কার করতে অনেকে গ্যাসের পাইপের গায়ে কোন কাপড় বা প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে রাখেন। এমন করলে পাইপ থেকে গ্যাস লিক হলে ধরা পড়বে না। একই পাইপ বছরের পর বছর ব্যবহার না করে প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর বদলে ফেলুন।গ্যাসের রেগুলেটরগ্যাসের রেগুলেটরের সংযোগ স্থল ভালো করে পাইপ দিয়ে ঢেকে রাখুন। গ্যাস বন্ধ করে বেরোনোর আগে দেখে নিন গ্যাসের পাইপ যেন কোনোভাবে গরম বার্নারের গায়ে লেগে না থাকে।

দেশলাই ব্যবহারে সতর্কতা:

সিলিন্ডার গরম হতে পারে এমন কোন কাজ করবেন না। অনেকেই গ্যাসের রেগুলেটর বা দেশলাই ব্যবহারের পর অবহেলার সঙ্গে তা রেখে দেন সিলিন্ডারের ওপরেই। এই দুটি জিনিসের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখুন।বৈদ্যুতিক সরঞ্জামরান্নাঘরে ঢুকেই গ্যাসের গন্ধ পেলে তখনই বেরিয়ে আসুন রান্নাঘর থেকে। ওই অবস্থায় কোনো সুইচ বোর্ড বা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চালু করবেন না। গ্যাস বেরিয়ে যাচ্ছে বুঝলে দ্রুত তা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।সেফটি ক্যাপসেফটি ক্যাপ ব্যবহার করুন। রান্নাঘর থেকে বেরোনোর পরেই সিলিন্ডারের মুখ ঢেকে রাখুন সেফটি ক্যাপে। তাহলে আর বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। – (ইন্টারনেট অবলম্বনে)


শর্টলিংকঃ