ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে যাবে ডাক্তার


ইউএনভি ডেস্ক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত সারা দেশে। এর প্রভাব পড়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারেও। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ফলে করোনার ভয়ে কমছে সাধারণ চিকিৎসা সেবা। তাই সাধারণ নানা রোগে ভোগা মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে কক্সবাজারে যাত্রা শুরু করেছে ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল।

ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে যাবে ডাক্তার

‘ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার’ স্লোগান নিয়ে করোনা দুর্যোগে ঘরবন্দি মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে শনিবার (২ মে) কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও জেলা ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে খুরুশকুল ইউনিয়নে ‘ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল’ উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ বিশেষায়িত এ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন।

এ সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) শাহাজাহান আলী, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আশরাফুল আফসার বলেন, একটি বিশেষায়িত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িকে একটি মিনি হাসপাতাল হিসেবে সাজানো হয়েছে। সেখানে রয়েছে চিকিৎসার সব ধরণের সরঞ্জাম। ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালটি শহর ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে সব ধরণের চিকিৎসা সেবা দেবে। শুধু চিকিৎসা সেবা নয়, যারা চিকিৎসা নেবেন তাদের বিনামূল্যে ওষুধও দেয়া হবে।

ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের অন্যতম উদ্যোক্তা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, করোনায় থমকে আছে স্বাভাবিক জীবন। লকডাউন চলমান থাকায় সাধারণ রোগের চিকিৎসা নিতেও লোকজন হাসপাতালে যেতে পারছে না। সেসব মানুষের কথা ভেবেই ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালের চিন্তা মাথায় আসে। তা নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করার পর তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেয়ায় হাসপাতালটি বাস্তবায়ন হয়ে মাঠে নেমেছে।

জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, উদ্বোধন হওয়া হাসপাতালটিতে অক্সিজেন, নেবুলাইজার ও দুইজন চিকিৎসক এবং রোগী বসার মতো জায়গা রয়েছে। চারজন চিকিৎসক হাসপাতালটিকে কেন্দ্র করে তৎপর থাকবেন বলে জেনেছি। জেলার স্থলভাগের প্রতিটি ইউনিয়নে যাবে এ হাসপাতাল। এটি চালু হওয়ায় করোনার ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা নিয়ে বিড়ম্বনা মুক্ত থাকবে বলে আশা করছি।


শর্টলিংকঃ