তীব্র শীতে বেড়েছে রোগী : রামেক হাসপাতালে বিশেষ টিম


নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীতে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের কারণে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি জ্বরসহ ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর ভিড় বাড়ছে। তবে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম।

রামেক হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে রোগীদের ভীড়

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস জানান, ঠাণ্ডাজনিত কারণে রামেক হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১২০জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। তারা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া,শ্বাসকষ্ট, সর্দি জ্বরসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, শীতে রোগীদের কথা বিবেচনা করে রামেক হাসপাতালে ওয়ার্ডগুলোতে রুম হিটার, বাতাস প্রতিরোধে বাইরের খোলা বারান্দায় পর্দা দিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নিবুলাইজারসহ প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে। শীতজনিত কারণে ভর্তি শিশুদের জন্য শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ বেলাল হোসেনকে প্রধান করে চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক রোগীদের পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা দিচ্ছেন। রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেতে রামেক হাসপাতাল সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে।

শীতজনিত রোগ থেকে রক্ষায় করণীয় উল্লেখ করে ডা. সাইফুল ইসলাম ফেরদৌস জানান, এই শীতে বাচ্চা ও বয়স্কদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজন না থাকলে বেলা ১০টার আগে বাড়ি থেকে বেড় হওয়া যাবে না। বের হলেও নাক, কান ও গলার জন্যও শীত বস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার, গরম পানি খেতে হবে ও ব্যবহার করতে হবে। ঠাণ্ডা খাবার ও খেজুরের রস না খাওয়াই উত্তম। আগুন পোহানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন শরীরে আগুন না লাগে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সহকারী কামাল উদ্দিন জানান, প্রায় এক সপ্তাহ থেকে রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।  কদিন ধরে এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। সোমবার থেকে রাজশাহীর তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে ডিসেম্বরের ২৭ বা ২৮ তারিখ থেকে তাপমাত্রা আবারো কমতে পারে।


শর্টলিংকঃ