নাচোলে দেড় লাখ টাকার চোরাই গাছ আটক


নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কাজলা এলাকার খাস জমির প্রায় দেড় লাখ টাকার চোরাই গাছ আটক। গাছ চোরদের বাঁচাতে একটি প্রভাবালী মহল দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।


উপজেলার কসবা ইউনিয়নের রামেশ্বর মৌজার ১৬৪ দাগের ও কাজলা মৌজার ৮নং দাগের সরকারী খাস যায়গার কড়ই ও বাবলা গাছ গত ২৭আগস্ট থেকে ৩০আগস্ট পর্যন্ত ৪দিন ধরে পুরাতন কাজলা গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, ডালিম ওরফে ফকির, সালাউদ্দিন ওরফে স্বপন ও রেজাউল করিম গাছের গুড়ি বিক্রির উদ্দেশ্যে ট্রাক্টরে বোঝাই করে।

সরকারী খাস যায়গার প্রায় লাখ টাকার গাছ কেটে পাচারের সময় স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা সুলতানকে খবর দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে স্থানীয় গ্রামপুলিশ জাহাঙ্গীর আলম ও শাহজাহান কাঠ বোঝায় ট্রাকটি কাজলা মোড়ে আটক করে। পরে কাঠভর্তি ট্রাক্টরটি ইউএন’র নিকট জমা করে। চোরাই কাঠগুলি জমা করলেও চোরদের বিরুদ্ধে গত ৭ দিনেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি উপজেলা নির্বাহী অীফসার।

এদিকে গাছ চোরেরা চোকিদার ও স্থানীয়দেরকে নানাভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে যেন তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে না পারে। ফলে ওই এলাকার জনসাধারণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অীফসার সাবিহা সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রামেশ্বর ও কাজলা মৌজার গাছ কাটা যায়গাটি চিহ্নিত করতে কসবা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা ভূমি অফিসের সাভেয়ার মাহমুদুল হাসানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গাছগুলি সরকারী যায়গার হলে চোরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকাবসীর অভিযোগ পুরাতন কাজলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও তার ভাইগণ খুবই প্রভাবশালী।

চোরাই গাছের ব্যবসা এদের পেশা। এলাকাবসী আশঙ্কা করছেন খাস যায়গার প্রায় দেড় লাখ টাকার গাছ আটক হলেও লোক দেখানো তদন্ত করে গাছ চোরদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে একটি প্রভাবশালীমহল।


শর্টলিংকঃ