নৌকার অফিস পোড়ানো বিএনপি নেতারা এখন আ’লীগে


ইউনিভি ডেস্ক নিউজ:

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার অফিস পোড়ানো বিএনপি নেতাদের আওয়ামী লীগে যোগদান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস পোড়ানো মামলার আসামি তিন বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

গত ২৫ জানুয়ারি ২০/২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে স্থানীয় এমপির হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তারা।

বিএনপির তিন নেতা হলেন- পেকুয়া মাতবরপাড়া গ্রামের আহমদ নুরের ছেলে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি একাধিক নাশকতা মামলার পলাতক আসামি মাহবুল করিম, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের আবদুল হামিদ সিকদার পাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইল সিকদার এবং পেকুয়া মইয়াদিয়া গ্রামের মোস্তাক আহমদের ছেলে উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম।

জানা গেছে, ওইদিন বিকালে পেকুয়া উপজেলার টইটং উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নবনির্বাচিত এমপি জাফর আলমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আসেন বিএনপির নেতারা। পরে তারা এমপিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার ঘোষণা দেন।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বারবাকিয়া ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বলেন, এসব অতিথি পাখি সুবিধাভোগী। মামলা থেকে রেহাই পেতে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে। এটা দলের জন্য অশুভ সংকেত।

তবে পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কফিল উদ্দিন বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক কৌশল। বিএনপিকে দুর্বল করতে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছি। এতে দলের কোনো সমস্যা হবে না। যারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, তারা বিষয়টি বুঝতে অক্ষম।

এদিকে, পেকুয়া থানার ওসিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের সামনে নৌকার অফিস পোড়ানো মামলার পলাতক আসামি আওয়ামী লীগে যোগদানের ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পালাতক এসব আসামিকে ধরতে কাজ করছে পুলিশ। তবে তাদের আওয়ামী লীগে যোগদানের বিষয়টি আমার জানা নেই।

সূত্র: যুগান্তর


শর্টলিংকঃ