ইউএনভি ডেস্ক:
জাজিরা প্রান্তের ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির ওপর ‘৫-ডি’ নম্বরের ২৬তম স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোর দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৯০০ মিটার বা প্রায় ৪ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি বসানো হয়।
পদ্মা সেতুর (মূল সেতু) নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জানান, প্রথমে ক্রেনবাহী ভাসমান জাহাজ ‘তিয়ান-ই’ স্প্যানটি বহন করে নিয়ে এসে খুঁটির ওপর বসিয়ে দেয়। এরপর প্রকৌশলী ও শ্রমিকরা স্প্যানটিকে স্থায়ীভাবে বসানোর লক্ষ্যে বেয়ারিং লাগানোর মাধ্যমে কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেন।
তিনি জানান, প্রাকৃতিক ভাবেই মার্চ মাসে বিকেলের দিকে আবহাওয়া বৈরী হয়ে ওঠে। তাই স্প্যান বসানোর জন্য দুই দিন সময় লাগতে পারে-এমন দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। মঙ্গলবার জাজিরা প্রান্তের ২৮ ও ২৯ নম্বর খুঁটির ওপর ২৬তম স্প্যানটি বসানোর হয়।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে মাওয়া প্রান্তের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আরও দুটি স্প্যান চীন থেকে প্রকল্প এলাকায় যুক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এখন ৩৯টি স্প্যান প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি স্প্যান খুঁটির ওপর বসানো হয়ে গেছে। ১৩টি স্প্যান এখন কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে সংরক্ষনে রয়েছে।
প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জানান, পদ্মা সেতুর ৪২টি খুঁটির মধ্যে ৪০টি খুঁটির কাজ শেষ। বাকি ২টি খুঁটি নির্মাণ কাজ চলতি মাসেই সম্পন্ন হয়ে যাবে। আর ৪২টি খুঁটির ওপর ৪১টি স্প্যান বসানোর পরই ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়ে যাবে। নির্ধারিত সিডিউল মেনে স্প্যান বসানো হলে ২০২১ সালের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে।
