পাবনায় তিনদিনব্যাপী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩২তম আবির্ভাব মহোৎসব


কলিট তালুকদার পাবনা:

পুণ্য দোল-পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে পাবনার হিমাইতপুরধামে রোববার থেকে শুরু হয়েছে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩২তম শুভ আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব। এ উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রম কর্তৃপক্ষ।

রোববার সন্ধ্যায় সান্ধ্য প্রার্থনার পর মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে তিনদিনের মহোৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন পাবনা-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স। বিশেষ অতিথি থাকবেন পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস, হিমাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা।

উদ্বোধনী দিনে ভোরে সমবেত প্রার্থনা ও সদগ্রন্থাদি পাঠ, সকালে কর্মি বৈঠক, ভক্তিমূলক গান, দুপুরে আনন্দবাজার, বিকেলে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মাতৃ  সম্মেলন। এছাড়াও এদিনে শ্রীমন্দিরে শুভ অধিবাস ও ধর্মসভা। আলোচনা সভা শেষে থাকবে বিশেষ ধর্মালোচনা, লোকরঞ্চন ও রামায়ণগান।

সোমবার দ্বিতীয় দিনে থাকবে ভোরে ঊষাকীর্তন ও মাঙ্গলিকী, ভোরের প্রার্থনা ও সদগ্রন্থাদি পাঠ, শ্রী মন্দিরে ঠাকুরের জন্মলগ্ন ঘোষণা, বিশেষ সমবেত প্রার্থনা, জাতীয় সংগীত ও মাতৃবন্দনা সহযোগে জাতীয় পতাকা ও সৎসঙ্গ পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা, কিশোরমেলা, গীতি আলেখ্য, আনন্দবাজার, কুইজ প্রতিযোগিতা, যুব সম্মেলন, ভক্তিগীতি, সান্ধ্য প্রার্থনা ও ধর্মসভা। রাতে থাকবে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বাউল সঙ্গীত। মহোৎসবের সমাপনী দিনে ১০ মার্চ ভোরে ঊষাকীর্তন ও মাঙ্গলিকী, ভোরের প্রার্থনা ও সদগ্রন্থাদি পাঠ, শ্রীমদ্ভাগবত পাঠের আসর, অনুকূল ভক্তিগীতি, সন্ধ্যায় থাকছে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান।

মহোৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. নরেশ মধু বলেন, ভারতসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঠাকুরের অনুসারী ও ভক্তবৃন্দ এই মহোৎসবে যোগ দেবেন। এবারে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার ভক্তঅনুসারীদের উপস্থিতি আশা করছে তারা।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, ঠাকুর অনুকুলচন্দ্রের আবির্ভাব মহোৎসব ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ভক্ত অনুসারীরা যাতে শান্তিপুর্নভাবে আশ্রমে এসে তাদের আচারনুষ্ঠান করে ফিরে যেতে পারে সেজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।

 


শর্টলিংকঃ