পুঠিয়ায় নিয়ম না মেনে বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠেছে কিন্ডার গার্টেন


আবু হাসাদ, পুঠিয়া :

রাজশাহীর পুঠিয়ায় নিয়ম নীতির কোনো তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠছে শিশুদের শিক্ষার নামে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কিন্ডার গার্টেন। ছোট ছোট বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে এক রকম বদ্ধ কক্ষেই চালানো হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম। অভিভাবকদের অভিযোগ, এসব কিন্ডার গার্টেনে শিশুদের খেলাধুলার কোনো পরিবেশ নেই। এমন কী অনেক প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি করার মতও জায়গা নেই।

পুঠিয়ায় আবাসিক ভবনে বানিজ্যিক কিন্ডার গার্টেন

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে অফিসের তালিকা অনুসারে মোট ১৫ টি বে-সরকারী শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া আরো কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যে গুলো অফিসের তালিকায় নেই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পৌরসভা এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে  খেয়াল খুশি মতো অর্ধশতাধিক কিন্ডার গার্টেন তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। প্রতি বছরই বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠছে নতুন নতুন কিন্ডার গার্টেন। এক শ্রেণীর লোকজন শিক্ষা বাণিজ্য করতে ঘন বসতি এলাকাগুলোতে আবাসিক বাড়ি ভাড়া নিয়ে গড়ে তুলছেন শিশুদের স্কুল। অথচ ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাচ্চাদের খেলাধূলার মতো কোনো পরিবেশ নেই। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই প্রতিদিন সকালে অ্যাসেম্বলি করানোর মত স্থান পর্যন্ত নেই। তাই জাতীয় সংগীতও হয় না নিয়মিত।

এক শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, প্রতিষ্ঠানের মালিকরা প্রতিবছর ভর্তির মৌসুম শুরু হলে নানা প্রতিশ্রুতি দেন। এক শ্রেণীর কিন্ডার গার্টেন মালিকগণ আছেন যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যবসা কেন্দ্র চালু করেছেন। স্কুলের নামে প্রায় এক রকম বদ্ধ কক্ষের মধ্যে পাঠদানের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তারা অনেক শিক্ষক স্কুলের পাঠদানের চেয়ে প্রাইভেট বা কোচিং-এ বেশী আগ্রহী।

এ বিষয়ে উপজেলা কিন্ডার গার্টেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মাস্টারম্যান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেকেন্দার আলী বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আমাদের শুধুমাত্র বছরের শুরুতে পাঠ্যবগুলো দেয়। এছাড়া তারা আমাদের প্রতিষ্ঠানে অন্য কোনো বিষয়ে দিক নিদের্শনা দেয়া হয় না।

তিনি জানান, কিছু দিন আগে আমাদের কিন্ডার গার্টেন সমিতি গঠন করা হয়েছে। এই সমিতির অধিনে বর্তমানে ১৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমাদের সমিতির বাহিরেও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে তাদের ক্লাস রুম ছাড়া বাচ্চাদের খেলাধূলার কোনো পরিবেশ নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ মামুনুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।


শর্টলিংকঃ