পুঠিয়ায় স্কুলের পাশে মুরগি খামার স্বাস্থ্য ঝুকিতে শিক্ষার্থীরা


পুঠিয়া প্রতিনিধি:

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তা পৌর আবাসিক এলাকা ও গন্ডগোহালি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে মুরগির খামাড় গড়ে তুলেছেন। খামারের দুষিত তীব্র দুর্গন্ধ ও মাছির উৎপাতে অতিষ্ঠ স্কুলে আগত শিশু শিক্ষার্থীদের চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছেন।

পুঠিয়ায় স্কুলের পাশে মুরগি খামার স্বাস্থ্য ঝুকিতে শিক্ষার্থীরা

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, খামার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনকে বার বার অবহিত করেও এর কোনো সুফল সাধারণ মানুষ হচ্ছে না।জানাগেছে চারঘাট উপজেলা এলাকার আশরাফুল ইসলাম নামে সাবেক একজন পুলিশ কর্মকর্তা গন্ডগোহালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গত কয়েক বছর পূর্বে পোল্টি মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন। প্রায় দু’একর জমিতে গড়ে তোলা খামারে বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার মুরগি রয়েছে।

এছাড়া আরো প্রায় ২০ হাজার মুরগির জন্য নতুন সেট তৈরির কাজ চলছে। খামারের বর্জ্য গুলো রাস্তার পাশে উন্মুক্ত একটি পুকুরে ফেলা হচ্ছে। এতে তীব্র দুর্গন্ধের পাশাপাশি মাত্রারিক্ত মাছির উৎপাত বেড়ে গেছে।এ বিষয়ে গন্ডগোহালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাখি দেবী ভাড়ুড়ি বলেন, স্কুলে পাশে মুরগির খামারের কারণে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা চরম স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে রয়েছে। মাঝে মধ্যে খামার মালিক যাতায়াতের রাস্তার পাশে মুরগির বিষ্টা ফেলে রাখে। মাছি আর তীব্র দুর্গন্ধে চরম সমস্যার মধ্যে আমাদের থাকতে হয়। বিষয়টি সুরাহা করতে কয়েকবার শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অবহিত করা হয়েছে।

পুঠিয়ায় স্কুলের পাশে মুরগি খামার স্বাস্থ্য ঝুকিতে শিক্ষার্থীরা

তবে খামার মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, মুরগির খামার কিছু গন্ধ ছড়াবেই। তাছাড়া আমি খামারটিতে প্রতিদিন দু’বার স্প্রে করি এবং নিয়মিত পরিস্কার করি। কেও ব্যাক্তিগত কারণে এ সকল বিষয়ে অভিযোগ করতে পারেন। এছাড়া স্কুলের আশে-পাশে আরো ৩০-৩৫ টি মুরগির খামার আছে।

পৌরসভা মেয়র ও গন্ডগোহালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি বলেন, এই খামারের দুর্গন্ধ আর মাছির অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্কুলের বাচ্চারা। খামারের পাশেই আমারসহ অনেক বাড়ি-ঘর রয়েছে। আমিও একজন ভূক্তভোগি। বিষয়টি আমি উপজেলা আইনশৃংখলা সভায় কয়েকবার বলেছি। কিন্তু এর কোনো সুরাহা হয়নি।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।


শর্টলিংকঃ