পুলিশের হাতে আটক যুবক আতঙ্কে সংজ্ঞাহীন


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
পুলিশের হাতে আটক মিন্টু হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক আতঙ্কে সজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা বেগতিক দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


জানা যায়, সজ্ঞাহীন যুবক মিন্টু হোসেন লালপুর উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের শুকচান আলীর ছেলে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় তার নিজ এলাকা বসন্তপুর বিল থেকে ৩ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। এ সময় সে আতঙ্কে অজ্ঞান হয়ে যায়। এ অবস্থায় তাকে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে পরে রাজমাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মিন্টু হোসেনকে আটকের পর তার আত্নীয় স্বজন পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের ধ্বস্তাধ্বধস্তি হয়। এ অবস্থায় পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর সংজ্ঞাহীন হয়ে যায়।

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে মিন্টু হোসেনের মা ফাতেমা বেগম জানান, পুলিশের মারধরে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এ অবস্থায় প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে পরে রাজশাহী মেেিকল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ হিল কাফি জানান, মিন্টু হোসেনে সজ্ঞাহীন অবস্থায় আনা হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেেিকল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

লালপুর থানার সহকারি পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক জানান, মিন্টু একজন মাদক ব্যবসায়ী। গোপন সংবাদ ভিক্তিতে সাদা পোষাকে আমি ও উপ-সহকারি পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে ৩ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়। আটকের পর তার স্বজনরা বাঁধা দেয়। এ সময় তাদের সাথে ধ্বস্তাধ্বধস্তি হয়। তারপর সে আতঙ্কে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে।


শর্টলিংকঃ