প্রেম প্রস্তাবে না, রাবি ছাত্রীকে ছাত্রলীগ কর্মীর শ্লীলতাহানি


রাবি সংবাদদাতা:

প্রেম প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইতিহাস বিভাগের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক। ফাইল ছবি।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলাভবনের সামনে স্নান চত্বরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম মানিক। তিনি মতিহার হল ছাত্রলীগের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী এবং ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে বিরক্ত করে আসছে ছাত্রলীগ কর্মী মানিক। এছাড়া ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে প্রতিদিন বিভিন্ন সময়ে ফোন করতেন উনি। বিভাগের বড় ভাই হওয়ায় আমি কয়েকবার তার সাথে কথা বলেছি। এরপর যখন তিনি প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া শুরু করেন তারপর থেকে উনার ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দেই।’

ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘তবুও তিনি আমাকে বারবার ফোন করে বিরক্ত করতেন। মঙ্গলবার বিকেলে ফোন দিয়ে ক্লাস শেষ হওয়ার পর আমাকে দেখা করতে বলেন। ক্লাস শেষ হলে বিকেল ৫টায় তিনি বিভাগের সামনে আমাকে দাড় করান। আমার সঙ্গে জরুরি কথা আছে বলে স্নান চত্বরে নিয়ে যান। সেখানে তিনি আমাকে পুনরায় প্রেম প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য জোর-জবরদস্তি করতে থাকেন। আমি বারবার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবে রাজি করতে না পারায় একপর্যায়ে তিনি আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে হাত দেন।’

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘আমি খুবই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়েছেন। হয়তো আমার আর এখানে পড়াশুনা করা হবে না। আমি পড়াশুনা বাদ দিয়ে বাড়ি চলে যাবো।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ওই কর্মী মানিকের ফোনে ফোন দেওয়া হলে তিনি রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দেন। ইতিহাস বিভাগের সভাপতি ড. মর্তুজা খালেদ বলেন, ‘ঘটনাটি মাত্র শুনলাম। কাল বিভাগে গিয়ে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখব।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলেছি। অভিযোগের সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


শর্টলিংকঃ