ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রকেই কঠোর আইন করতে হবে: জাকারবার্গ


ইউএনভি ডেস্ক:

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম জনপ্রিয় সাইট ফেসবুকে বিপজ্জনক অনলাইন কন্টেন্ট বন্ধের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আরো কঠোআইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। খবর বিবিসির

ফেসবুকে বিপজ্জনক কন্টেন্ট বন্ধে রাষ্ট্রকেই কঠোর আইন করতে হবে: জাকারবার্গ

তিনি বলেছেন, কোন বক্তব্য ‘আইনসম্মত ও বৈধ’ কিনা সেটি বিচার করা ফেসবুকের মত কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ হতে পারে না।তবে একই সঙ্গে সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত কড়াকড়ি করা হলে সেটি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করবে বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে চীনের উদাহরণ দেন তিনি।

জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাকারবার্গ।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনলাইনে মিথ্যা খবর ও গুজব ছড়ানো বন্ধের জন্য ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে।

বিশেষ করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বিষয়ে ফেসবুকের নীতির কারণে সংস্থাটি ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছে।কিন্তু এ সপ্তাহে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার তারকাদের স্পন্সর করা রাজনৈতিক পোষ্ট সংস্থাটির ডাটাবেসে আর সংরক্ষণ করা হবে না।

তাছাড়া কোম্পানির নীতি অনুযায়ী রাজনীতিবিদদের পোষ্টগুলোর সত্যমিথ্যাও সবসময় যাচাই করা হয় না।যে কারণে ওই সম্মেলনে আইন কঠোর করার গুরুত্ব তুলে ধরেন জাকারবার্গ।

তিনি বলেন, সমাজে সমতার ভারসাম্য রক্ষার কাজটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বদলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নেবে এমনটা চাই না আমরা।তার বদলে তিনি সরকারকেই সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানান।

জাকারবার্গ মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত টেলিকম ও মিডিয়া কোম্পানি আইনের মিশেলে হতে পারে সেই আইন।তিনি বলেন, সে ধরণের একটি আইন প্রণয়ন হবার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু করতে থাকবো।

তবে জাকারবার্গ স্বীকার করেন যে, ফেসবুকে রাশিয়ার মত বিভিন্ন রাষ্ট্রচালিত সংগঠিত ‘তথ্য প্রচারণা’ শনাক্ত করতে সংস্থাটির দেরি হয়েছিল।

আবার অন্যদিকে, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ও বিপজ্জনক কন্টেন্ট তৈরি করে তারাও নিজেদের পরিচয় গোপন করতে, আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে রাখার কাজে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

আর এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩৫ হাজার কর্মীর একটি দল রয়েছে ফেসবুকের, যাদের কাজ প্রতিটি কন্টেন্টের মূল্যায়ন এবং এর নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখা।কৃত্রিম বুদ্ধির সাহায্যে সংস্থাটি প্রতিদিন দশ লাখের বেশি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে।

জাকারবার্গ বলেন, কন্টেন্ট রিভিউ করা জন্য এখন আমাদের যে বাজেট, তা ২০১২ সালে যখন আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হই সে সময় কোম্পানির মূল আয়ের চেয়ে বেশি। সে সময় আমাদের ব্যবহারকারী ছিল একশো কোটি মানুষের মত।

এদিকে, ভুয়া খবর, রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রচারণা ইত্যাদি নিয়ে নানামুখী সমালোচনার মধ্যেই ফেসবুক এবং এর সহযোগী প্ল্যাটফর্মসমূহ যেমন মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং এ থেকে আয় বেড়ে চলছে।

এ মাসের শুরুতে হোয়াটসঅ্যাপ জানায় বিশ্বব্যাপী তাদের ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই শো কোটি মানুষ, যা পুরো বিশ্বে মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ।

আরো পড়তে পারেন:ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল


শর্টলিংকঃ