বাগমারায় ‘আলোর ফেরিওয়ালা’


নিজস্ব প্রতিবেদক :

আলোর ফেরিওয়ালারা বাগমারায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া শুরু করেছে।

আলোর ফেরিওয়ালা এবার বাগমারায়। ভ্যানে বিদ্যুৎ সংযোগের সরঞ্জাম নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে হাজির হচ্ছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গ্রাহকের আবেদন পাওয়া মাত্র ফি নিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংযোগ। এ যেন এক স্বপ্ন, যা মানুষ আগে কখনও ভাবেনি।

এক সময়ের বিদ্যুৎ ছিল সোনার হরিণ। আর বর্তমানে বিদ্যুৎ বাড়িতে এসে দিয়ে যাচ্ছে মাত্র ৫ মিনিটে। ভ্যানগাড়িতে আছে মিটার, বিদ্যুতের তারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। আছেন দু’জন লাইনম্যান ও একজন ওয়্যারিং পরিদর্শক।

প্রতিদিন সকাল থেকে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন তারা। গ্রাহক বিদ্যুৎ নিতে চাইলে মাত্র পাঁচ মিনিটেই পেয়ে যাবেন সংযোগ। কোন হয়রানি নেই, দিতে হবে না কোন বাড়তি অর্থ। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১এর উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে আলোর ফেরিওয়ালা ভ্যান। রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন আর ২টি পৌরসভায় চলমান থাকবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভ্যানে মিটার, তার থেকে শুরু করে সব ধরনের সরঞ্জাম থাকছে। যে এলাকার বাসাবাড়িতে এখনও বিদ্যুৎ নেই, সেই এলাকায় বেশি যাচ্ছেন, সেখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। যারা নতুন সংযোগ নিতে আগ্রহী, তাদের সদস্য ফি বাবদ ভ্যাটসহ ১৫০ টাকা, আর জামানত হিসেবে ৪০০ টাকা (বাণিজ্যিক হলে ৮০০) জমা দিতে হচ্ছে।

আলোর ফেরিওয়ালাদের কাছে টাকা জমা নেয়ার রসিদ বই থাকছে, তারা সেখানে বসেই টাকা জমা করছেন। এরপর ওয়্যারিং পরিদর্শক ওয়্যারিং যাচাই করে ঠিক আছে জানালেই সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়ায় মাত্র পাঁচ-ছয় মিনিট সময় লাগছে। গ্রাহককে অফিসে আসতে হচ্ছে না, আবেদনের পাঁচ মিনিটেই পাচ্ছেন সংযোগ।

এ ছাড়া পল্লী বিদ্যুতের লোকজন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর কারণে পুরোনো গ্রাহকদের কোন সমস্যা থাকলে সেটাও দ্রুত ঠিক করে নিতে পারছেন। মাড়িয়া গ্রামের নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া বেশ কয়েকজন গ্রাহক বলেন, ‘আজ আমি নতুন বিদ্যুৎ লাইন পাইছি, আমার ফটো ও কাগজ দিতে কিছু সময় দেরি হইছে কিন্তু বিদ্যুৎ লাইন পাইতে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় লাগছে।

মাড়িয়া ইউনিয়নে উদ্বোধন করা হয় আলোর ফেরিওয়ালা। প্রধান অতিথি হিসেবে এই কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক।

বাগমারা জোনাল অফিসের ডিজিএম রেজাউল করিম জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এই প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়ন করতে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও বাগমারায় শতভাগ বিদ্যুতের হাতছানি দিচ্ছে। তারপরও এই আলোর ফেরিওয়ালার কার্যক্রম চলমান থাকবে।


শর্টলিংকঃ