বার্ড ফ্লু থেকে দেখা দিতে পারে আরেক মহামারি, গবেষকদের আশঙ্কা


ইউএনভি ডেস্ক:

বার্ড ফ্লু এর এইচফাইভএনওয়ান ধরণটির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন দেশের সরকার এবং গবেষকরা। তবে যুক্তরাজ্যের একজন গবেষক দাবি করেছেন, বার্ড ফ্লু মহামারি হয়তো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে। দ্যা মেট্রো সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।

ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার অধ্যাপক ড. ডায়ানা বেল জানিয়েছেন, ২০২০ সালের পর থেকে দ্রুত ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু। ১৯৯৭ সালের দিকে চীনে গৃহপালিত হাঁসের মাঝে প্রথম দেখা দেয় বার্ড ফ্লু। এরপর থেকে তা বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পাখি ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতিতে দেখা দিচ্ছে বার্ড ফ্লু।

ড. ডায়ানা বেল এর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সাল থেকে ২৬টি দেশে বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রজাতিতে ছড়িয়েছে বার্ড ফ্লু- যার মাঝে শ্বেতভালুক এবং পেঙ্গুইন পর্যন্ত আছে। আর এতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশ ভয়াবহ।

মানুষের মাঝেও ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু। শুধু গত বছরেই ২৩টি দেশের ৮৮২ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বার্ড ফ্লুতে। এতে মৃত্যুর হার ৫২ শতাংশ। এশিয়ার কিছু দেশে পাখি থেকে মানুষে ভাইরাস ছড়ানোর হার অনেক বেশি। এসব দেশে বার্ড ফ্লু আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

করোনাভাইরাসের মতো বার্ড ফ্লুয়ের উৎসও অজানা। তবে ধারণা করা হয় অন্য কোনো প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছে দুটোই।

এখন পর্যন্ত মানুষ থেকে মানুষে বার্ড ফ্লু সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা খুব বেশি ঘটেনি। তবুও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে এই ভাইরাসটি মহামারি হয়ে উঠতে পারে।

মহামারি ঠেকাতে বার্ড ফ্লু নিয়ে গবেষণা এবং নজরদারির বিকল্প নেই বলে মনে করেন ড. ডায়ানা বেল। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো গৃহপালিত হাঁস-মুরগির মাঝে বার্ড ফ্লুয়ের প্রকোপ কমিয়ে আনা। এর জন্য পোলট্রি ফার্মিং পদ্ধতিতেই আমূল পরিবর্তন আনা উচিত বলে তিনি মনে করেন।


শর্টলিংকঃ