বিএনপিপন্থী আইনজীবী আলমগীর কিবরিয়ার পদত্যাগ, দায়হীন মহাসচিব


দলের প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে সারা দেশে নতুন করে বিএনপি নেতাদের পদত্যাগের ঘটনা ঘটছে। গত ৩ দিনে অন্তত ৩ জন নেতা প্রায় অভিন্ন অভিযোগে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। এবার ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন শেরপুর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বরাবর পাঠানো এক পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন আলমগীর কিবরিয়া। তিনি সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

সূত্রের বরাতে জানা যায়, ব্যক্তিগত অসুবিধা ও পেশাগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। ওই অব্যাহতি পত্র সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি/সম্পাদকসহ চিঠির অনুলিপি কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব ও বিভিন্ন গণমাধ্যমেও পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট আলমগীর।

পদত্যাগের বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলমগীরের ঘনিষ্ঠ একজন কর্মী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের নেতারা দলের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিনা লাভে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত হয়েছেন।

এতে রাজনীতির বাইরে তাদের যে জীবনযাপন সেখানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল নিয়ে বিএনপির কোনো মাথা ব্যথা নেই। নিজেরা নিজেদের মতো কর্মসূচি দিচ্ছে।

একবার বলছে, আন্দোলন করবে, আরেকবার বলছে আন্দোলন করবে না। এই দোদুল্যমান পরিস্থিতিতে রাজনীতি করা যায় না। তাই আমার নেতা রাজনীতি ছেড়ে আইন ব্যবসায় মনযোগী হতেই পদত্যাগ করেছেন।

এমন প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের পদত্যাগকে কেবল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, তৃণমূলে দুই-একজন পথভ্রষ্ট নেতার পদত্যাগে দল অকার্যকর হয়ে যাবে না। ফলে এ নিয়ে কথা বলার কিছু নেই।


শর্টলিংকঃ