ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে নাঈম হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসি। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার খান মরিচ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে রবিবার রাতেই ওই শিশুটির বাবা ভাঙ্গুড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ জানায়, রবিবার বিকেলে শিশুটিকে জাম্বুরা দেয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে যান নাঈম। পরে তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে এলাকাবাসি ছুটে এসে শিশুকে উদ্ধার করে নাঈমকে আটক কওে রেখে পরে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তারা শিশুটিকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
শিশুটির মা বলেন, আমার নিষ্পাপ মাইয়া ওর কী ক্ষতিহান করছিল। আমরা তাঁর বিচার চাই।শিশুটির বাবা বলেন, দিনমজুরি কইরা যা পাই, তা দিয়া সংসার চালাই। ডাক্তারের এহনো পরিষ্কার কইরা কিছু বলে না। ভয়ের মধ্যে আছি। ঘটনার পর হাসপাতালে থানার বড়বাবু আইছিল। তাদের কাছে অভিযোগ করেছি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. হালিমা খানম বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। শিশুটি বেশ ছোট। ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য আমরা শিশুটিকে পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ মাসুদ রানা বলেন, আমরা ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না। তাই সুস্পষ্ট তথ্য নিতে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত নাঈমের বিরুদ্ধে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ (১) ধারায় থানায় একটি মামলা করেছেন। সোমবার সকালে নাঈমকে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
