ভারতের আধার প্রকল্পে বাংলাদেশের টাইগার আইটি


ভারতের আধার প্রকল্পে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির বায়োমেট্রিক সফটওয়্যার (এসডিকে) ব্যবহার করা হচ্ছে। সফটওয়্যারটি ব্যক্তিগত তথ্যকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে সক্ষম বলে ভারতের উচ্চ আদালত স্বীকৃতি দিয়েছেন। টাইগার আইটির এই সফটওয়্যার সম্পর্কিত হার্ডওয়্যারটি তৈরি করেছে রেনেসাঁস সেমিকন্ডাক্টর।

রোববার (২৭ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহে রাখা আছে আধার প্রকল্পতে। ভারত সরকার আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য অন্য সেবাগুলোর সঙ্গে দাখিল করা বাধ্যতামূলক করে যে নির্দেশ দিয়েছিল, নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে আদালত তা খারিজ করে দেন। আদালত বলেছেন, তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ব্যক্তির আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়া হচ্ছে। হ্যাকারদের পক্ষে এর সবগুলোই চুরি করা সম্ভব। এর মাধ্যমে ব্যক্তির ব্যাংক ও বীমা সংক্রান্ত তথ্যও চুরি হয়ে যেতে পারে।

এই সমস্যা মোকাবিলায় টাইগার আইটি একটি বিশেষ সফটওয়্যার ও রেনেসাঁস সেমিকন্ডাক্টর একটি হার্ডওয়্যার ডিভাইস তৈরি করেছে, যা আধার প্রকল্পের তথ্যের নিরাপত্তার ঘাটতিপূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।

টাইগার আইটির বিজ্ঞানী মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিভাইসটি এনআইএসটি সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত বায়োমেট্রিক এসডিকে ও অ্যাসিমেট্রিক এনক্রিপশনের মাধ্যমে সুরক্ষিত। এর নিরাপত্তা ভেদ করা হ্যাকারদের পক্ষে অসম্ভব। এটি ব্যবহারে অথেনটিকেশন প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রতারকরা কোনো বায়োমেট্রিক ডাটা অ্যাক্সেস করতে পারবে না।

ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোও নানা কারণে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করছে। টাইগার আইটি আশা করছে, দেশগুলোতে ব্যক্তির তথ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই সফটওয়্যার ও ডিভাইস রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটি এর আগে দেশের ভোটার তথ্য সংরক্ষণে ই–সেবা ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আনুমানিক দেড় হাজার প্রকল্পে তাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ড্রাগ লাইসেন্স প্রজেক্টেও টাইগার আইটির সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে।


শর্টলিংকঃ