যাকাত বিতরণ নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষকে গুলি করে খুন


ইউএনভি ডেস্ক:
সম্পর্কে সবাই বন্ধু-স্বজন। এক পাড়াতেই বসবাস। রাজনৈতিক আদর্শও এক। রমজানে যাকাত বিতরণ নিয়ে বিরোধের শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে আধিপত্যের বিরোধে, ঝরেছে প্রাণও। এ ঘটনায় নিহতের মুক্তিযোদ্ধা বাবাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

যাকাত বিতরণ নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষকে গুলি করে খুন

শুক্রবার (১৬ মে) মধ্যরাতে সেহেরির আগ মুহূর্তে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায়।স্থানীয় সূত্র জানায়, হামলায় নিহত ও হামলাকারীদের সবাই যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। কিছুদিন আগেও একসঙ্গে রাজনীতি করলেও বর্তমানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চলছে বিরোধ।

মূলত তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির শুরু হলেও পরে সেখান থেকে পুরনো বিরোধ নিয়ে ঘটে হামলার ঘটনা।এ ঘটনায় নাছির (৩৫) নামের এক যুবককে বাড়ি ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গুলিতে আহত হয়েছেন তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আলি মদন ও ভাই লোকমান।

আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।স্থানীয় সাংবাদিক পুজন সেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘নিজ এলাকায় যাকাত বিতরণ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান শামসুল আলমের সমর্থক লোকমান ও যুবলীগ নেতা মাহবুবুল আলমের সমর্থক জসিমের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

পরে সে বিরোধ পুরনো রাজনৈতিক বিরোধে রূপ নেয়।’‘মধ্যরাতে এ নিয়ে লোকমান ও জসিমের মধ্যে কথা কাটাকাটির মাঝেই জসিমের ভাই শওকত অস্ত্র নিয়ে লোকমান ও তার পরিবারের ওপর হামলা করে। এতে লোকমান, তার ভাই নাছির ও বাবা মুক্তিযোদ্ধা আলি মদন গুলিবিদ্ধ হন।

পরে তাদের চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাছিরকে মৃত ঘোষণা করে। বাকি দু’জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’ যোগ করেন পুজন সেন।

বোয়ালখালী থানার ওসি মো. আবদুল করিম বলেন, ‘স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মাহবুবুল আলমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় নাছির নিহত হয়েছেন।

আহত হয়েছে আরও দুইজন।’তিতিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় জসিম ও শওকত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি এলজি, ৫ রাউন্ড গুলি, ২টি কার্তুজ, ছুরি, চাপাতি এবং দা উদ্ধার করা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ