রাজশাহীতে নৌবন্দর স্থাপনে পদ্মায় খনন কাজ শুরু


নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভারতের সঙ্গে নৌপথে বাণিজ্য বাড়াতে রাজশাহীতে হবে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর। এজন্য পদ্মা নদীতে নাব্য ফেরাতে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে শিগগিরই শুরু হবে ড্রেজিং। তবে এর আগেই সরকারি উদ্যোগে রাজশাহীতে ছয় কিলোমিটার এলাকায় শুরু হয়েছে ড্রেজিং কার্যক্রম। তাই এই নৌবন্দরকে ঘিরে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে ব্যবসায়ী মহলে।

পাকিস্তান আমলেও রাজশাহীতে নৌবন্দর ছিলো। ভারতসহ দেশের ঢাকা ও চট্টগ্রামের বড় বড় জাহাজ মালামাল নিয়ে রাজশাহীতে আসতো। জাহাজে করেই ঢাকায় যেতো রাজশাহীর মিষ্টি আম। তবে ফারাক্কার বাঁধের পর মরা পদ্মায়, এখন বর্ষার তিন মাস ছাড়া সারাবছরই বালুচর জেগে থাকে।

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় এবার প্রথমবারের মত পদ্মায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী খনন শুরু হয়েছে। ৫৭ কোটি টাকায় সোনাইকান্দি থেকে পাঠানপাড়া পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করা হচ্ছে। এতে ২৬ লাখ ঘন মিটার মাটি খনন করা হবে।

ড্রেজার অপারেশন সার্কেলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘মধ্য জুন পর্যন্ত আমরা এই নদীতে ড্রেজিং করতে পারবো। এরমধ্যে আমরা যতটুকু খনন করার কথা সেটি যদি সম্পূর্ণ করতে না পারি সেক্ষেত্রে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

তবে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে একটি আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে যদি নদীর নাব্যতা আট থেকে দশ মাস ধরে রাখা যায়, তাহলে ভারত থেকে শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে এসে রাজশাহীতে শিল্পায়ন করা সম্ভব। আর এটি করতে হবে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজশাহীতে নদী বন্দর স্থাপন হলে ভারত থেকে সরাসরি নৌপথে কম খরচে কাঁচামাল আনা সম্ভব হবে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বলেন, শিল্পের কাঁচামাল আমরা যদি বাই রোডে আনি, তাহলে আমাদের অনেক খরচ করতে হয়। কিন্তু এসব কাঁচামাল যদি আমরা নৌপথে আনা যায় তাহলে ২৫ শতাংশ কম খরচে আমরা আনতে পারবো। এছাড়া এগুলো বাইরে পাঠাতেও আমাদের খরচ কম হবে।

নাব্যতা ফেরাতে প্রথমবারের মত রাজশাহীর পদ্মায় শুরু হয়েছে ড্রেজিং কার্যক্রম। এর মাধ্যমে এখানে একটি নৌবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই নৌবন্দর স্থাপন হলে শিল্প-কলকারখানা স্থাপনের পাশাপাশি এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাবে বলে মনে করছেন এখানকার বাসিন্দারা।


শর্টলিংকঃ