রাজশাহীতে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাড়ছে অটোরিকশার ভাড়া


নিজস্ব প্রতিবেদক:

অঘোষিত ধর্মঘটে গিয়ে ভাড়া বাড়ানোর দাবি আদায় করলেন রাজশাহী নগরীর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা। রোববার সকাল থেকে তারা ধর্মঘট শুরু করেন। দুপুরে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তাদের আশ্বস্ত করেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বর্ধিত ভাড়ার ঘোষণা দেয়া হবে।

এরপর চালকেরা অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। এর আগে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা এসে নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীতে একটিও অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।

রাজশাহীতে অটোরিকশার লাইসেন্স দিয়ে থাকে সিটি করপোরেশন। রাজশাহী মহানগর ইজিবাইক মালিক শ্রমিক সমবায় সমিতি সম্মেলন করে ১ জানুয়ারি থেকে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। সেদিন জানানো হয়, এখন শহরে দুই রঙের অটোরিকশা দুই শিফটে চলাচল করে। অর্ধেক সময় অটোরিকশা চালানোর কারণে চালকদের আয় কমেছে। তাই ভাড়া বাড়াতে হচ্ছে।

সে অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন থেকে প্রতিটি রুটে আগের ভাড়ার সঙ্গে বাড়তি তিন টাকা আদায় শুরু করেন চালকেরা। কিন্তু সিটি করপোরেশনের অনুমোদন ছাড়াই এই ভাড়া আদায় নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ৭ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে সিটি মেয়র ইজিবাইক মালিক শ্রমিক সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে বসেন। তিনি ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দেন।

৩১ জানুয়ারি পার হলেও এ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত না আসায় চালকেরা রোববার বিক্ষোভ শুরু করেন নগর ভবনের সামনে। দুপুরে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বিক্ষোভকারীদের সামনে যান। তারা ‘জয় বাংলা’ বলে শ্লোগান দিতে থাকেন। মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন চালকদের উদ্দেশ্যে বলেন, অটোরিকশা চালকদের নেতাদের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে দ্রুতই তিনি সিদ্ধান্ত দেবেন। তখন চালকেরা সবাই বলেন, তাদের কোন নেতা নেই। এখানেই মেয়রকে ঘোষণা দিতে হবে।

মেয়র তখন বলেন, ইজিবাইক মালিক শ্রমিক সমবায় সমিতির নেতাদের প্রতি আস্থা না থাকলে বিক্ষোভকারীদের মধ্য থেকেই যেন তার দপ্তরে পাঁচজনকে পাঠানো হয়। তিনি তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু চালকেরা এতে রাজি হননি। তারা বলেন, এখনই এ ব্যাপারে ঘোষণা দিতে হবে। তাদের কোন নেতা নেই, কাউকে নেতা বানিয়ে পাঠাতেও চান না।

রাজশাহীতে প্রথম করোনার টিকা নিলেন এমপি বাদশা

চালকদের এমন সিদ্ধান্তে মেয়র হাসেন। এরপর তিনি পাশে থাকা প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে পরামর্শ করেন। এরপর ঘোষণা দেন, আলাপ-আলোচনা করে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই তিনি অটোরিকশার বাড়তি ভাড়া নির্ধারণ করে ঘোষণা দেবেন। চালকেরা মেয়রের এ কথা মেনে নেন। তারা আবারও ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিতে থাকেন। এরপর তারা বিক্ষোভ তুলে নিয়ে অটোরিকশায় গিয়ে বসেন। শহরে আবারও অটোরিকশা চলাচল শুরু হয়।


শর্টলিংকঃ